হাঁটুর ব্যথা সারাতে বৈদ্য বাড়িতে ধোনি

মাত্র ৪০ টাকার ওষুধে হাঁটুর অসহনীয় ব্যথা সারাতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বৈদ্য বন্ধন সিংহের রাচির বাড়িতে গেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

বেশ কিছুদিন ধরে হাঁটুর ব্যথায় ভূগছিলেন ধোনি। এ অবস্থায় ব্যথা মুক্ত হতে বড় কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন তিনি, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে ধোনি তেমনটা না করে ছুটলেন নিজ শহর রাঁচিতে। ব্যথা সারাতে দ্বারস্থ হলেন সেখানকার এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের।

চিকিৎসক বৈদ্য বন্ধন সিংহের রাঁচিতে বেশ নামডাক রয়েছে। গাছের নিচে বসেই রোগীদের সেবা করেন তিনি। রীতিমত লাইন দিয়ে তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে যায় রোগীরা। প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঔষধি ব্যবহার করে রোগীদের সারিয়ে তোলেন তিনি।

সম্প্রতি দুই হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের এই কারিগর। 

ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ধোনিকে বেশ কিছু জরিবুটি দেওয়া দুধ পান করতে বলেছেন বৈদ্য। নির্দিষ্ট বিরতিতে দুই ডোজ ঔষধ গ্রহণ করার পর এর সুফল পেতে পারেন ধোনি।

তবে অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি, যে শহরের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছেন ভারতের জীবন্ত কিংবদন্তি ক্রিকেটার ধোনি, সেই শহরে বসবাস করেও তাকে নাকি একেবারেই চিনতেন না সেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। দুয়েকবার ধোনির নাম শুনলেও কখনো ধোনিকে দেখেননি তিনি। 

বৈদ্য বন্ধন সিংহ ধোনিকে চিনতে না পারলেও সেখানকার অন্যরা ঠিকই চিনেছেন তাকে। তাই তো সেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের গাছতলায় যাওয়ার পরই ধোনিকে ঘিরে ধরে অগণিত অনুরাগী। তারা যখন ধোনির অটোগ্রাফ নিতে এবং তার সঙ্গে সেলফি তুলতে তাকে ঘিরে ধরেন, তখনই বৈদ্য বন্ধন সিংহ বুঝতে পারেন, আসলে কার চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি!

মূলত ধোনির হাঁটুতে ব্যথা শুরুর পর তার বাবা-মায়ের পরামর্শে এই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান তিনি। জানা গেছে, কয়েক মাস আগেই বন্ধন সিংয়ের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। 

আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের মাত্র ৪০ টাকার ওষুধেই নাকি সেরে উঠবে ব্যথা। ধোনির ব্যথা সেরেছে কি না সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।