বিপিএলের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত বিসিবির
প্রকাশিত: ১৯:০২ ২১ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১৯:০৩ ২১ জানুয়ারি ২০২২

বিপিএলের লোগো
দিনে দিনে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে আজকে থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আজ (শুক্রবার) মাঠে গড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। তবে এখনো বিপিএল বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই মনে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, সংক্রমণের মাত্রা বাড়লে বা ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিপিএল চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারে ক্রিকেট বোর্ড।
মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে মল্লিক বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি হলে তো ওটা মানে বাধা ধরা কোনো নিয়মের মধ্যে থাকব তা না। আমরা অবশ্যই পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাব। স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যেটা ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নেব। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি।
তিনি বলেন, ওমিক্রনের যে পরিস্থিতি তাতে স্বস্তি নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এই যে ম্যাচ কাভার করতে আপনারা সাংবাদিকরা আসছেন, মাঠকর্মীরা কাজ করছেন, বিদেশি খেলোয়াড়, লোকাল খেলোয়াড় কোচিং স্টাফ, তারপরে আমাদের আম্পায়ার সবাই কিন্তু মাঠে। করোনার এই সংক্রমণটা বেড়ে যাওয়ার কারণে আসলে স্বস্তি নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। তবে আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন বিপিএলটা সফলভাবে শেষ করতে পারি।
আজ শুরু হওয়া এবারের বিপিএলের শেষ হবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লেও এখনই ভেন্যু কমানোর ভাবনা নেই বিসিবির।
মল্লিক বলেন, দেখুন এই টুর্নামেন্টটার জন্য কিন্তু টানা খেলা দেওয়া সম্ভব না। হয় আমাকে চার পাঁচদিনের বিরতি দিতে হবে না হয় আমাকে অন্য ভেন্যুতে স্থানান্তর করতে হবে। আর একটা জিনিস হলো আমাদের দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো কিন্তু সিলেটে হয় সুতরাং ওই উইকেটকে আমাদের লোকাল প্লেয়াররা আত্মস্থ করে সেটাকে কিন্তু আমাদের মাথায় নিতে হয়। এটা যেহেতু আমাদের টি-২০ টুর্নামেন্ট তাই আমরা এখন পযন্ত সিলেট ও চট্টগ্রামকে সিলেক্ট করছি। আল্লাহ রহমতে কোনো রকমের বাধাবিপত্তি না আসলে আমরা ওখানে খেলা চালাবো।
তিনি যোগ করেন, যেকোনো পরিস্থিতি হলে তো ওটা মানে বাধা ধরা কোনো নিয়মের মধ্যে থাকব তা না, আমরা অবশ্যই পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাবো। স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যেটা ভালো হবে সেই সিদ্ধান্ত নিবো। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি।
ফরচুন বরিশালের কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত সম্পর্কে মল্লিক বলেন, দেখুন আমরা টুর্নামেন্ট শুরু আগে কিছু জিনিস টপ আউট করেছি। আমরা যে জিনিসটা দেখছি যে করোর সিজার কোনো ইনফেকশন না হয় আর টিমটা বায়ো-বাবলে আছে। অলরেডি আপনারা জানেন যে সরকার থেকে বলা হচ্ছে যে ওমিক্রনটা অতটা সিরিয়াস না, কাউকে হাসপাতাল যেতে হচ্ছে না। সো আমাদের বায়ো-বাবল প্রটোকল রেখে মেডিকেল টিম কে ওভাবে নির্দেশনা দেওয়া যে রিসেন্ট অলিম্পিক যেভাবে হলো কিংবা ইংলিশ লিগ ও স্প্যানিশ লিগ যেভাবে হচ্ছে ওভাবেই যেন আমরা করতে পারি। যাতে আমরা কম্পাইন করে ইনফেকশন যেন ছড়িয়ে না পড়ে, তবে সিরিয়াস হয়ে গেলে চেষ্টা করবো রিপ্লেসমেন্ট দিয়ে খেলাটা চালিয়ে যাওয়ার। তারপরও একান্ত হলে বোর্ড ও সরকারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএস/এএল