পরিবর্তন আসছে বিতর্কিত ডিআরএস নিয়মে
প্রকাশিত: ১৯:০৫ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফাইল ছবি
ক্রিকেটে আম্পায়ার্স কল নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ভারত-ইংল্যান্ডের মাঝে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ চেন্নাই টেস্টে আবারো আম্পায়ার্স কল বিতর্কের বিষয়টি সামনে আসে। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ কিছু কিংবদন্তি ক্রিকেটার এই নিয়মটি বাদ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার ডিআরএসের এই নিয়মে পরিবররতন আসতে চলেছে।
ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম তথা ডিআরএসের সুবিধা বেশ লক্ষণীয়। প্রযুক্তির ব্যবহারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হলেও পুরোপুরি বিতর্ক মুক্ত হতে পারেনি ডিআরএস। কারণ এই প্রথায় আম্পায়ার্স কলের নিয়মে একই ধরনের আউটে দুই ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কারণ এখানে একই ভাবে বল পিচ করে স্ট্যাম্পে হিট করলেও শুধুমাত্র আম্পায়ার্স কলের কারণে আউট কিংবা নটআউটের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হয়।
এই বিভ্রান্ত দূর করতে এবার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসিও ডিআরএসে আম্পায়ার্স কল বাদ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। জানা গেছে, সেখানে অধিকাংশ সদস্যই বিতর্কিত আম্পায়ার্স কল বাদ দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এমসিসির সভায় সম্প্রতি আম্পায়ার্স কল বাদ দেয়ার বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। সংস্থার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সৌরভ গাঙ্গুলি, কুমার সাঙ্গাকারা, রিকি পন্টিং, অ্যালিস্টার কুক, শেন ওয়ার্ন, মাইক গেটিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, রমিজ রাজা, কুমার ধর্মসেনা, সুজি বেটসদের অধিকাংশই আম্পায়ার্স কল বাদ দেয়ার পক্ষে আছেন।
বিবৃতিতে এমসিসি জানিয়েছে, ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) লেগ-বিফোর উইকেটের ক্ষেত্রে আম্পায়ার্স কলের ব্যবহার নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে। একই বলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যখন আউট বা নট আউট দুটিই হচ্ছে, সেটা দেখে সমর্থকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের সদস্যদের মতে, মাঠের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিয়ে সরাসরি আউট বা নট আউট দেয়াই সবার জন্য ভালো। কোন আম্পায়ার্স কল নয়।
বিকল্প সমাধান হিসেবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্ট্যাম্পে হিটিংয়ের নিয়ম আগের মতোই থাকবে। তবে আউট হতে হলে অন্তত বলের পঞ্চাশ ভাগ স্ট্যাম্পে থাকতে হবে। তবে এটা চালু হলে অন্য রিভিউগুলোকে ব্যর্থ বলে গণ্য করা হবে।
এমসিসির এই আলোচনা পরামর্শ হিসেবে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব তাদেরই।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএল