কোরবানির পশুকে সাজানোসহ যেসব কাজ নাজায়েজ
প্রকাশিত: ১৫:৩১ ৬ জুলাই ২০২২

ফাইল ছবি
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। আল্লাহর কাছে (কোরবানির পশুর) মাংস, রক্ত পৌঁছে না, বরং আল্লাহর কাছে তোমাদের তাকওয়া (তথা একনিষ্ঠভাবে সম্পন্ন আমল) পৌঁছে।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত: ৩৭) তাই আমাদেরকে কোরবানির মাসায়েলগুলো সহিহভাবে মানতে হবে।
তবে কোরবানি নিয়ে কিছু কুসংস্কার ও ভুল ধারণা রয়েছে। যা সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া উচিত-
১. অনেক এলাকায় পশুর বয়স অনুপাতে দাঁত গজিয়েছে কি-না তা যাচাই করা হয়, কিন্তু বয়সের ক্ষেত্রে দাঁত গজানো না গজানোর ওপর নির্ভর করা যায় না; বরং বয়সের সঠিক ধারণা হলো দাঁত না গজালেও কোরবানি হবে, আর বয়স কম হলে দাঁত গজালেও তার দ্বারা কোরবানি হবে না ।
২. জন্তু ক্রয় করার পর লাল সালু দিয়ে সাজ-সজ্জা করা এবং পুষ্পমালা দিয়ে গলিতে গলিতে নেয়া হয় এবং জনশ্রুতি ও বাহবা পাওয়ার জন্য জন্তুকে এদিক সেদিক ঘোরানো হয়। এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও কুসংস্কার। তাই এ সমস্ত গর্হিত কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা অতিব জরুরি।
৩. কোনো কোনো এলাকায় কোরবানির পশুর খাদ্য নালি নিয়ে ঘরের সামনে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। আর মনে করা হয় এর মধ্যে রয়েছে অনেক পূণ্য। আসলে এ ধারণা অবান্তর।
৪. কোনো কোনো এলাকায় প্রচলন আছে, যে সমস্ত গাছের আমে পোকা হয়, সে সব গাছে বসে কোরবানির গোস্ত খেয়ে হাঁড়গুলো গাছে ঝুলিয়ে রাখলে পোকা হয় না, অথচ এ ধরনের ধারণা অমূলক ও বর্জনীয়।
৫. কোনো কোনো এলাকাতে জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কোরবানির দিন পর্যন্ত মুরগি ইত্যাদি জবেহ না করা এবং আদৌ গোস্ত না খাওয়ার যে রীতি ও রেওয়াজ রয়েছে শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই ।
ডেইলি বাংলাদেশ/এনকে