২০৩০ সালেই গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন ৭ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রকাশিত: ২১:১২ ২৭ এপ্রিল ২০২২ আপডেট: ১৫:২৯ ২৮ এপ্রিল ২০২২

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ড- ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যেই গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন নিঃশর্তভাবে ৭ শতাংশ এবং শর্তসাপেক্ষে ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ডের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী জানান, পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য কনভেনশন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, মরুকরণ রোধ কনভেনশন, বিপজ্জনক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বাসেল কনভেনশন, জৈব দূষক সম্পর্কিত স্টকহোম কনভেনশন, ওজোনস্তর ক্ষয় রোধ সম্পর্কিত মন্ট্রিল প্রোটোকলসহ সমস্ত প্রধান বহুপাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সীমিত ভূমি থাকা সত্ত্বেও দেশের স্থলভাগের ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে, এর মধ্যে ৪৮টি সুরক্ষিত এলাকা এবং ১৩টি পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা রয়েছে। এছাড়া এরই মধ্যেই দেশের মোট সামুদ্রিক এলাকার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ এলাকায় চারটি সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালে চুয়ার্ড বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ।
ডেইলি বাংলাদেশ/জাআ/এমকেএ/এইচএন