পাঠ্যবইয়ে যৌতুকের ‘সুবিধা’র বর্ণনা নিয়ে ভারতে বিতর্ক
প্রকাশিত: ১৫:০৭ ৫ এপ্রিল ২০২২

ছবি: সংগৃহীত
ভারতে পণপ্রথাবিরোধী আইন রয়েছে অনেক আগে থেকেই, বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। কঠিন পদক্ষেপও নিয়েছে প্রশাসন। অথচ এর মধ্যেই নার্সিং প্রশিক্ষণে সমাজবিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে ফলাও করে লেখা হয়েছে পণপ্রথার উপকারিতা। বইয়ের ওই পাতার ছবি এখন ভাইরাল।
বইয়ে পণপ্রথার কী কী উপকারিতা, তাও লেখা রয়েছে। তাতে চারটি উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন টি কে ইন্দ্রাণী। সেগুলো হলো- ১. পণ বাবদ যেসব আসবাব, বাসন, টিভি, ফ্রিজ, জামা কাপড় পাওয়া যা, তা নতুন সংসারের জন্য দরকারি। ২. বাবা-মার সম্পত্তির একটি অংশই পণ হিসেবে পান কনে। ৩. এই পণপ্রথার কারণে অনেক বাবা-মা মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। যেন মেয়ে শিক্ষিত হলে বা চাকরি করলে পণের অঙ্ক কম হয়। ৪. এই পণের জন্য অনায়াসে দেখতে ‘কুৎসিত’ মেয়েদের বিয়ে দেওয়া সহজ হয়।
আরো পড়ুন: জার্মানি থেকে ৪০ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার
পাঠ্যবইয়ের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর মহারাষ্ট্র রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার নেত্রী ও ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার এমপি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এর নিন্দা জানান। এই ভাইরাল ছবি টুইটারে শেয়ার করে শিবসেনা নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, আমি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে এই ধরনের বই সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যৌতুকের সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত একটি পাঠ্যপুস্তক কি সত্যিই আমাদের পাঠ্যসূচিতে থাকতে পারে? এটা দেশ ও সংবিধান বিরোধী।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই টুইট ব্যবহারকারী লিখেছেন, বিরক্তিকর। একজন লিখেছেন, এটা কলেজের টেক্সট বইয়ে পড়ানো হচ্ছে! চমকে দেওয়ার মতো।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএএইচ