জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে ইউজিসি, শিক্ষকদের অসন্তোষ
প্রকাশিত: ২০:৪২ ২০ জানুয়ারি ২০২২

ছবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রিতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত ইউজিসির একটি অফিস আদেশ ডেইলি বাংলাদেশের হাতে এসেছে। গত ৯ জানুয়ারি ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এ অফিস আদেশে তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রাপ্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ সালে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রিতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীরকে সদস্য সচিব এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের লাবিবা মহসিন কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন বলে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
তবে এ চিঠির প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ‘অর্থ আত্মসাৎ’ শব্দযুগলের ব্যবহারকে ‘অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে ইউজিসিকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘অর্থ আত্মসাৎ’ শব্দযুগল অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং শিক্ষকদের জন্য চরম অসম্মানজনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে এ অফিস আদেশের বক্তব্য ও শব্দ চয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যথিত করেছ এবং এ ধরনের তদন্তের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। তাদের পেশাগত দায়িত্ব, একাডেমিক দক্ষতা, ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও মেধার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
বক্তব্যে, ভর্তি পরীক্ষার অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী বন্টন করে দাবি করে ইউজিসি চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে এ ধরনের তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের জরুরি সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আমাদের অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। এই বক্তব্য সকল শিক্ষকের পক্ষ থেকে। এর বাইরে কিছু বলার নেই।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম