রাবিতে রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত: ২১:৪৪ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ২১:৫৭ ১৭ জানুয়ারি ২০২২

ফাইল ছবি
ছিনতাইসহ বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিরসনের লক্ষ্যে রাত ৮টার পরে ক্যাম্পাসে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগত কাউকে যত্রতত্র ঘোরাফেরা করতে দেবে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।
আরো পড়ুন: করোনা সচেতনতায় রাবিতে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গৃহীত আরো ১৭ দফা সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের গৃহীত অন্য সিদ্ধান্তগুলো হল-
১। বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে নিয়মিতভাবে স্টুডেন্ট আইডি/এনআইডি চেক করা এবং অকারণে ঘুরাফেরা করা বহিরাগতের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকগুলোতে শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে অধিকতর পুলিশি নজরদারীর ব্যবস্থা করা।
৩। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মাঠ, বাগান ও ভবনের বিভিন্ন স্থানে যথার্থ আলো ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা।
৪। সন্দেহজনক ব্যক্তি, গাড়ি ও রিক্সার গতিবিধি নজরদারিতে রাখা।
৫। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় ক্যাম্পাসে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নয়
৬। ক্যাম্পাসে অনুমোদনবিহীন দোকান চিহ্নিত করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা এবং অনুমোদিত দোকান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করার ব্যবস্থা করা।
৭। প্যারিস রোডসহ অন্যান্য রাস্তা ও স্থানে ব্লক স্থাপন করা।
৮। নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি বহন, সংরক্ষণ ও হস্তান্তররোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সচেতন হতে অনুপ্রাণিত করা।
৯। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করা।
১০। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো অনুষ্ঠান করতে শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতির সুপারিশক্রমে ও শর্তসাপেক্ষে প্রক্টরের অনুমতি পেতে পারে। তবে বহিরাগতদের পিকনিকের কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরো পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় ক্যাম্পাস, বাড়ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো-
১। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংগঠন ও সমিতির সাথে আলোচনা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা।
২। প্রধান গেটসমূহ, আবাসিক এলাকা, হল ও প্রশাসন ভবন এলাকায় পুলিশি তদারকি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা।
৩। এস্টেট দফতরের সহায়তায় দোকান মালিকদের সাথে মতবিনিময় করা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা।
৪। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।
৫। ক্যাম্পাস পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা।
আরো পড়ুন: বুয়েট হলের ২৪ জন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোমবার এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উক্ত আলোচনা সভায় ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, প্রো-ভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম