আমরা সারাবিশ্বে ঋণ দেব: অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত: ১৪:৫৯ ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ আপডেট: ১৮:৪৭ ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল- ফাইল ফটো
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা এখন ঋণ করছি। তবে সময় বেশি বাকি নেই, ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মাঝে আমরা সারাবিশ্বে ঋণ দেব। আমরা কিন্তু সেইভাবে এগোতে শুরু করেছি। আমাদের গভর্নর মহোদয় সব সময় আমাদের কো-অপারেট করছেন। মেগা প্রকল্পেও অর্থায়ন করছি। সবই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মৌলিক অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার-২০২০’ দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের গলায় স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি গভর্নর ফজলে কবীর নগদ ৫ লাখ টাকা তার হতে তুলে দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যে অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে। টার্গেট অনুযায়ী ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে।
তিনি বলেন, জিডিপির পরিমাণে আমাদের ঋণ সবচেয়ে কম। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের ঋণ অনেক কম। ৩৬ থেকে ৩৭ শতাংশ আমাদের ঋণের পরিমাণ। এত কম ঋণের পরিমাণ কারোর নেই।
দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম জিডিপিতে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি হবে। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটি অর্জন করতে পারিনি। তবে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে আইডিয়া করেছিলাম সেগুলো বেশিরভাগ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কথা দিয়েছিলাম, চলতি বছর শেষে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে। কিন্তু সেটা করতে পারিনি। বর্তমানে এটা ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। আমি বিশ্বাস করি চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে যেতে পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি- আজকে যে ডেভেলপমেন্ট জার্নি দেখছি, এটা হঠাৎ করেই এ অবস্থানে আসার বিষয় নয়। এখানে অনেকের অবদান আছে। জাতির পিতার পাঁচশালা পরিকল্পনা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেখেছেন। সেখানে তিনি সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা রেখে গেছেন কীভাবে দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনা করতে হবে, কীভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি। জাতির পিতা সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন কিন্তু কাজটি তিনি করে যেতে পারেননি। আজকে তারই অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন তারই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে চলছেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকেএ/এমএস