আমনে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
প্রকাশিত: ১৮:৩৯ ২১ অক্টোবর ২০২১ আপডেট: ১৮:৩৯ ২১ অক্টোবর ২০২১

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শস্য ভান্ডার খ্যাত শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চলতি আমন আবাদে সোনালী ধানে মাঠ ভরে গেছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। ফলন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন চাল। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৯ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছে।
উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আতাউর রহমান বলেন, তিনি এবারের আমন আবাদে ২৫ শতাংশ জমিতে মসুরি পাইজাম ও ২৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ৪৯ জাতের ধান লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ফসল ভালো দেখা যাচ্ছে। ধানের বাজার দর ভালো থাকলে লাভবান হবেন।
আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান হাবিল জানান, তিনি ১ একর ৫০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় স্বর্ণলতা ও ইন্ডিয়ান পাইজাম জাতের ধান লাগিয়েছেন। আবাদ খুব ভালো হয়েছে। ধান কাটার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, বোনারপাড়া গ্রামের অপর কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ২ একর জমিতে হাইব্রিড ধানী গোল্ড জাতের ধান লাগিয়ে ছিলেন। এরই মধ্যে তা কাটতে শুরু করেছেন। এছাড়া উপজেলার বেশ কিছু উঁচু এলাকায় হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও বিনা-৭ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব ধানে ভাল ফলন পাচ্ছেন বলে কৃষকরা জানান।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, নালিতাবাড়ীতে চলতি আমন আবাদে পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোনো রকম প্রাকৃতিক র্দুযোগ দেখা না দিলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে