চকরিয়ায় দুর্ঘটনা
স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন প্রদীপ
প্রকাশিত: ১৩:২৯ ১৫ আগস্ট ২০২১ আপডেট: ১৩:৩১ ১৫ আগস্ট ২০২১

ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
‘আমার মা-স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রোগি দেখতে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে করে বাশঁখালীর কালিপুর যাচ্ছিলাম। আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি চকরিয়ায় পৌছালে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। এসময় আমার মা, স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তান মারা যায়। আমি আর আমার মেয়ে কোন রকম গাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণে বাঁচি।’
হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিলাপ করে এসব কথাই বলছিলেন চকরিয়ার দুর্ঘটনায় আহত প্রদীপ রুদ্র। মেয়ে শ্যামলী রুদ্রসহ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
রোববার সকালে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরসভার ৭ নং ভেন্ডিবাজার সংলগ্ন এটিএম পার্ক এলাকায় মাইক্রো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে নারী ও শিশুসহ ৭ জন নিহত হন।
দুর্ঘটনায় প্রদীপ রুদ্রের স্ত্রী পূর্ণিমা রুদ্র, ছেলে স্বার্থক রুদ্র ও মা রানী রুদ্র নিহত হন। চোখের সামনেই তাদের মৃত্যু দেখেন প্রদীপ। কিন্তু কিছুই করার ছিল না তার।
চকরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ আজিম সিদ্দীকি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৭ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। গুরুতর আহত আরো কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা বেগতিক তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেএস