অভিযানের আগে সস্ত্রীক হাসপাতালে ছিলেন হাজী সেলিম
প্রকাশিত: ২২:২৪ ২৬ অক্টোবর ২০২০ আপডেট: ০১:১৫ ২৭ অক্টোবর ২০২০

ছবি- সংগৃহীত
র্যাবের অভিযানের সময় সস্ত্রীক হাসপাতালে ছিলেন ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুপুর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। এ পর্যন্ত এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে 'হেফাজতে' নেয়া হয়েছে।
নয়তলা ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাদের ‘হেফাজতে’ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমপি হাজী সেলিম কোথায় জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, হাজী সেলিম বাড়িতে নেই। অভিযানের আগেই তিনি তার স্ত্রীসহ হাসপাতালে গেছেন। তবে কোন চিকিৎসকের কাছে গেছেন, তা জানাতে পারেননি র্যাব এই কর্মকর্তা।
পরে ওই ভবন থেকে লাইসেন্সহীন একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৪০টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
সরেজমিনের দেখা গেছে, চকবাজারের ২৬ নম্বর দেবীদাস ঘাট লেনের ওই বাড়ির চতুর্থ ও পঞ্চম তলাটি ডুপ্লেক্স সিস্টেমে নির্মাণ করা হয়েছে। ৪র্থ তলার উত্তর কর্নারের রুমটিতে বসবাস করতেন এমপি পুত্র ইরফান সেলিম।
তার রুমের তোশকের নিচে ম্যাগাজিন ভর্তি একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ম তলায় পূর্ব পাশের কর্নারে ৫টি ওয়ারল্যাস ভিপিএস সিস্টেম (ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার) ও ৪০টি ওয়াকিটকি সেট, একটি হ্যান্ডকাপ, একটি বন্দুক, বিদেশি মদের বোতল ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, আটক ইরফান মোহাম্মদ সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নোয়াখালী -৪ আসনের এমপি একরামুল করীম চৌধুরীর মেয়ের জামাতা।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে ঢাকা -৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ল্যফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। এরপরই গাড়ি থেকে ইরফান সেলিমসহ তার লোকজন নেমে লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান নামের ওই কর্মকর্তাকে বেদম পিটিয়েছেন।
রাত সোয়া ১০ টার দিকে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমন্ডি থানায় নেয়া করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএ