কারাগারে সাদা রঙের নীল স্ট্রাইপের দুটি শাড়ি পেলেন মিন্নি
প্রকাশিত: ১৯:৩৪ ২ অক্টোবর ২০২০ আপডেট: ২১:০৩ ২ অক্টোবর ২০২০

কারাগারে সাদা রঙের নীল স্ট্রাইপের দুটি শাড়ি পেলেন মিন্নি
বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় বুধবার নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কয়েদি পোশাক সরবরাহ করা হয়েছে।
বরগুনা জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিন্নি কনডেম সেলে একা রয়েছে। সেই সেলের পাহারায় রয়েছেন একজন নারী কারারক্ষী। কারাবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেয়া হয়েছে। মিন্নির ক্ষেত্রে একই নিয়ম। ফাঁসির আসামি হিসেবে মিন্নিকে দুটি কয়েদির পোশাক দেয়া হয়েছে। তার কয়েদির পোশাক শাড়ি যা সব নারী ফাঁসির কয়েদিদের দেয়া হয়। শাড়িতে সাদা রঙের ওপর নীল স্ট্রাইপ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিন্নিকে একটি বালিশ ও কম্বলও দেয়া হয়েছে। আগে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের বালিশ দেয়া হতো না। কারাবিধি অনুযায়ী তিনটি কম্বল দেয়া হতো। তিন কম্বলের একটিকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতেন কয়েদিরা। এখন একটি কম্বল কমিয়ে একটি বালিশ দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাসের রায় দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর, কামরুল ইসলাম সায়মুন, মো. মুসা।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ছাড়েন তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মারা যান।
ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ৮ জানুয়ারি একই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বরগুনার শিশু আদালত।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকেএ