ভুক্তভোগীকে প্রথমে ছেলে ভেবেছিল ধর্ষক মজনু
প্রকাশিত: ১৭:০৬ ৮ জানুয়ারি ২০২০ আপডেট: ১৭:০৮ ৮ জানুয়ারি ২০২০

ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষক মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। সে ছিনতাই কিংবা ধর্ষণের জন্য ফুটপাতে ওৎ পেতে ছিল। ভুক্তভোগীর গড়ন হালকা-পাতলা হওয়ায় প্রথমে তাকে ছেলে ভেবেছিল আসামি। উদ্দেশ্য ছিল ছিনতাইয়ের।
বুধবার ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানান র্যাবের পরিচালক (আইন ও গনমাধ্যম) সারওয়ার-বিন-কাশেম।
তিনি বলেন, ধর্ষণের আগে মজনু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যায় চিকিৎসা নিতে। সেখান থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কের সামনের ফুটপাতে ‘টার্গেট’ খুঁজতে থাকে সে। এ সময় বাস থেকে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। ছোট চুল ও হালকা-পাতলা গড়ন দেখে সে ভিকটিমকে সহজ বা দুর্বল টার্গেট ভেবে নেয়। ছোট চুল থাকায় প্রথমে মজনু ভিকটিমকে ছেলে ভেবে ছিনতাইয়ের চিন্তা করে। পরে ভিকটিমের কাধে ব্যাগ দেখে সে নিশ্চিত হয় ভিকটিম একজন মেয়ে। এরপরই সে তাকে ছিনতাই ও ধর্ষণ করার টার্গেট করে।
‘বাস থেকে নামার পর মজনু ভিকটিমকে অনুসরণ করতে থাকে। পরে সুযোগ বুঝে তার মুখ চেপে ধরে ছাত্রীটিকে ঝোপের ভেতর নিয়ে যায়।
গত রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় পরের দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
ডেইলি বাংলাদেশ/এসআই