করণিক থেকে যেভাবে হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী
প্রকাশিত: ২১:৫৭ ২২ জুন ২০২২ আপডেট: ২২:০৩ ২২ জুন ২০২২

ছবি: দ্রৌপদী মুর্মু ও নরেন্দ্র মোদি
ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আদিবাসী রাজনীতিক দ্রৌপদী মুর্মুর (৬৪) নাম ঘোষণা করেছে তারা।
পূর্বাঞ্চলীয় উড়িষ্যা রাজ্যের সাবেক এই শিক্ষক বেশ কয়েক বছর বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। এ ছাড়া তিনি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজ্যপাল (গভর্নর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত হলে দ্রৌপদীই হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।
গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পর বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদীর নাম ঘোষণা করেন। নাড্ডা বলেন, 'এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।'
মনোনয়ন পেয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, বিষয়টি তিনি টিভিতে দেখেছেন। এ খবরে তিনি বিস্মিত ও আনন্দিত। আদিবাসী এই নেত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রত্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার আদিবাসী নারী হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ পদপ্রার্থী হওয়ার বিষয়টি কখনো কল্পনা করিনি। '
২০১৭ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিজেপি তার নাম বিবেচনা করছে বলে খবর এসেছিল। তখন তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরো পড়ুন>> ধুঁকছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি, ৪০ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি
১৯৫৮ সালে উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপসি গ্রামে একটি সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর। রাজধানী ভুবনেশ্বরের রামদেবী মহিলা কলেজে পড়াশোনা করেছেন। করণিক হিসেবে উড়িষ্যায় সরকারি চাকরি শুরু করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সেচ ও শক্তি বিভাগে কনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে চাকরি করেছেন। পরে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত রায়রংপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।
১৯৯৭ সালে শুরু হয় দ্রৌপদীর রাজনৈতিক যাত্রা। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে রায়রংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। রায়রংপুর আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি ২০০০ ও ২০০৯ সালে দুইবার বিধানসভা সদস্য নির্বাচিত হন।
বিজু জনতা দলের নবীন পাটনায়েকের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে উড়িষ্যা রাজ্যে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দ্রৌপদী। প্রথমে বাণিজ্য ও পরিবহন এবং পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির 'তফসিলি উপজাতি' মোর্চার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে দেন দ্রৌপদী। ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র: বিবিসি
ডেইলি বাংলাদেশ/মাহাদী