ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন পুতিন
প্রকাশিত: ২০:৫৫ ২২ জুন ২০২২ আপডেট: ২১:১৯ ২২ জুন ২০২২

ছবি: ব্রিকস সদস্য দেশের নেতাদের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন
বেইজিং আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে যোগ দিবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এটিই হবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার কোনো সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রথম ঘটনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
করোনাভাইরাস মহামারির পর বিশ্ববাসী দেখছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। এতে করে দেশে দেশে বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি, দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। সংকট কমাতে এবারের ব্রিকস সম্মেলনকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত পাঁচটি দেশ বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনশক্তি ও ২৪ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ধারণ করে। সেখানে এবারের ১৪তম ব্রিকস সম্মেলন বড় রকমের ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা রয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন, বহুপাক্ষীয় কার্যক্রমে ব্রিকসকে তাদের উদ্যোগ দ্বিগুণ করতে হবে। আশা করা যায় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্রিকস শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
আরো পড়ুন>> জাতিসংঘে যৌন হয়রানি!
ব্রিকস সম্মেলনের ব্যাপারে চীনের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক জু জিজুন বলেছেন, ব্রিকস গঠনের পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটা অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার সামলাতে এ জোটের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি বিশ্ববাজারে এসে পড়বে এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্বরাজনীতিতে স্নায়ুযুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নোংরা খেলা। এ অবস্থায় ব্রিকসের কার্যকর সিদ্ধান্ত বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।
গত মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এবারের ব্রিকস সম্মেলনের মূল উপজীব্য রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতির কথা চিন্তা করে হলেও এ সংঘাত কমিয়ে ফেলা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ভারত, চীন, রাশিয়া ও ব্রাজিল মিলে ব্রিকস চালু করে। পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১১ সালে ব্রিকসে যোগদান করে। মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে ও একজোট হয়ে কাজ করতেই ব্রিকস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/মাহাদী