ফুচকা বিক্রেতা থেকে শচীন-রোহিতদের পাশে
প্রকাশিত: ১৫:০৫ ২২ জুন ২০২২

ফাইল ছবি
মুম্বাই প্রদেশের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেললেও তার জন্ম উত্তরপ্রদেশের সুরিয়া এলাকায়। দশ বছর বয়সে চলে আসেন মুম্বাইয়ে। আর দশজনের মতোই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো ছোট ছেলেটি। ক্রিকেট শেখার সঙ্গেই চলত দোকানে কাজ করা।
কিন্তু কাজের ফলে কমে যেত অনুশীলনের সময়। একসময় হারালেন সেই কাজ। পেট চালাতে ফুচকা বিক্রি করে দিন চালাতেন তিনি। সেই যশস্বী জসওয়ালের দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরিই মুম্বাইকে তুলে দিল রঞ্জির ফাইনালে। বিপক্ষে ছিল তার জন্ম রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
মুম্বাইয়ের নবম ব্যাটার হিসাবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে উচ্ছ্বসিত যশস্বী। তিনি বলেন, উইকেট দেখে মনে হয়েছিল যে পিচ মন্থর। পৃথ্বী শ আউট হলে আরমান জাফরের সঙ্গে আলোচনা করি পিচ নিয়ে। নিজেকে সময় দিতে চাইছিলাম।
দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও প্রথম ৫৪টি বলে কোনো রান করতে পারেননি যশস্বী। তিনি বলেন, যতটা বেশি সময় সম্ভব ক্রিজে টিকে থাকতে চাইছিলাম আমি। এটাই আমার পরিকল্পনা ছিল। আমি জানি অনেকগুলো বল খেলেছি প্রথম রান করতে। কিন্তু এক বার রান পাওয়ার পর আর থামিনি।
আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা যশস্বীই মুম্বাইকে ফের রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক পৃথ্বী শ শূন্য করলেও সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। এর পর উত্তরপ্রদেশকে ১৮০ রানে অল আউট করে দেয় মুম্বাই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের সেঞ্চুরি যশস্বীর। এবার ১৮১ রান করেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে পঞ্চম দিনেও ব্যাট করে মুম্বাই। উত্তরপ্রদেশ আর দ্বিতীয় ইনিংস খেলার সুযোগই পায়নি। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে রঞ্জির ফাইনালে উঠে যায় মুম্বাই।
মুম্বাইয়ের নবম ব্যাটার হিসাবে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরিের কীর্তির কথা জেনে যশস্বী আপ্লুত। শচীন টেন্ডুলকার, ওয়াসিম জাফর, রোহিত শর্মা, আজিঙ্কা রাহানেদের সঙ্গে এক আসনে এখন তার নাম।
এ বিষয়ে যশস্বী বলেন, এই রেকর্ডের কথা আমি জানতাম না। সাজঘরে ফেরার পর সতীর্থরা আমাকে বলে এই কীর্তির কথা। আমার নাম শচীন, জাফর, রোহিত, রাহানের মতো তারকাদের সঙ্গে। আমি গর্বিত।
বুধবার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনাল খেলতে নামবে মুম্বাই। ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএল