জামালপুরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, দুর্ভোগে বানভাসীরা
প্রকাশিত: ১৭:৪৪ ২১ জুন ২০২২

দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও শাখা নদী সমূহে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও শাখা নদী সমূহে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বিভিন্ন সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক মো. আব্দুল মান্নান জানান, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।। সব মিলে জেলার ৬টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১২শ হেক্টর ফসলি জমি। এদিকে দুর্গতদের জন্য ৩৫০ মেট্টিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পানিবৃদ্ধিতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান, হিসাবরক্ষণ অফিস, পিআইও, প্রকৌশল অফিস, মৎস্য, সমবায়, সমাজসেবা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, তথ্য আপা, পরিসংখ্যান, পল্লী উন্নয়ন, একটি বাড়ি একটি খামার ও খাদ্য অফিসসহ অন্য অফিসের সামনে বন্যার পানি উঠে গেছে। এতে সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের যাতায়াতে মারাত্মক অসুবিধা দেখা দিয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জের ইউএনও কামরুন্নাহার শেফা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি, পানিবন্দি বা কারো খাদ্য-সঙ্কট হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, প্রতিদিন বন্যা পরিস্থিতির রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
বন্যার পানি সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর থেকে ইসলামপুর উপজেলার আমতলা সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশের ফলে হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধির গতি কমে আসছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে জেলার সাতটি উপজেলায় ৩৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাত লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮০টি মেডিকেল টিম, ৪৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র ও চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমকে