পল্লবীতে সাহিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ২৮ জুলাই
প্রকাশিত: ১৬:২৮ ১৯ জুন ২০২২

ফাইল ছবি
- আদালতে বিচারকের কক্ষে সন্তান কোলে নিয়ে বিয়ে
- ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা: পাঁচজনকে আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
- আদালতের নির্দেশে ব্রিটেন থেকে রুয়ান্ডাগামী প্রথম ফ্লাইট বাতিল
- সংগীত শিল্পীকে ব্যতিক্রমী সাজা দিল আদালত
- ওটিটি নীতিমালা বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের
- প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি ভয়ংকর অপরাধ: হাইকোর্ট
- বিএনপির ফখরুলসহ তিনজনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
রাজধানীর পল্লবীতে কুপিয়ে সাহিন উদ্দিনকে হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নূরুল হুদা চৌধুরীর এ দিন ধার্য করেন। আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই আব্দুর রউফ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত পুনঃতদন্ত দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আরো পড়ুন> প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মেয়াদ বাড়ল
গত ১২ মে আদালত সাহিনুদ্দিনের মায়ের নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এমএ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ১৬ মে সাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ঐ রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু।
মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম বলেন, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টায় সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। সাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ঐ বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিন উদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ঐ গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরআর/এমএস