বিচারকাজ ফের ভার্চুয়ালি: প্রধান বিচারপতি
প্রকাশিত: ১১:১৭ ১৮ জানুয়ারি ২০২২

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী- ফাইল ফটো
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের ভার্চুয়ালি হবে সব বিচারকাজ।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বসার পর তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, চারিদিকে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভার্চুয়ালি যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতি করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের অনেক স্টাফ। এমন পরিস্থিতিতে কোর্টের কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকও করোনা আক্রান্ত।
এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেলও করোনায় আক্রান্ত।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৯ নভেম্বর, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল ০১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের এজলাসে বিচারক ও আইনজীবীদের শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ পরিচালিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের মার্চের শেষদিকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে দেশের সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচারকাজ চালিয়ে নিতে ওই বছরের ৯ মে এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি হয়।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট ডিজিটাল মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করলে ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথমবার ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু হলেও হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ চলছিল। কয়েকটি বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চলে। একইসঙ্গে আপিল বিভাগেও ভার্চুয়ালি বিচারকাজ চলে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে গেলে গত ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে ফের সীমিত পরিসরে চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হয়।
এরপর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ সংখ্যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে হাইকোর্টে ভার্চুয়াল আদালতের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতিতে কয়েকটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলে। আপিল বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ চলে আসছিল।
ডেইলি বাংলাদেশ/এমআরকে