বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা
খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২১ মার্চ
প্রকাশিত: ১৫:৪২ ১৭ জানুয়ারি ২০২১

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া - ফাইল ছবি
বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামি খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই দিন ধার্য করেন। এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে আদালতে অভিযোগ গঠন না করে মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।
এদিকে গত ১৯ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে সিআইডি মামলাটি করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম রয়েছে।
এদিকে ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় খালেদের বিচার চলছে। এছাড়া একই আদালতে আরেকটা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ক্যাসিনো খালেদ অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুদক।
অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। গুলশানে তার বাড়ি থেকে একটি শটগান, দুটি পিস্তল, শটগানের ৫৭টি গুলি ও ৫৮৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একই দিন র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। অন্যদিকে মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন র্যাবের ওয়ারেন্ট অফিসার চাইলা প্রু মার্মা।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডআর