আমার জীবনে পরিকল্পনা করে কিছুই হয় না: মৌসুমী মৌ
প্রকাশিত: ১৬:৪৭ ২৫ জুলাই ২০২২ আপডেট: ১৭:৩৪ ২৫ জুলাই ২০২২

সাইকো থ্রিলার ধর্মী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জহরে কহরে’। ঈদ আয়োজনে দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হয় এটি। নির্জন বাড়ির তিনজন মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে সুন্দর করে তুলেছেন পরিচালক রাকায়েত রাব্বি। টেলিভিশনে প্রচারের পর চলচ্চিত্রটি দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপেও।
এরইমধ্যে দর্শকদের মনজয় করে নিয়েছে ‘জহরে কহরে’। শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিনয় করে প্রশংসা পাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপক মৌসুমী মৌ। তিনি প্রাচ্যনাটের ২৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীও। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ‘জহরে কহরে’ কাজ নিয়ে মুখোমুখি হন ডেইলি বাংলাদেশ-এর। কথা বলেছেন শব্দনীল।
ডেইলি বাংলাদেশ: ভিন্ন ধারার কাজ করতে আপনার কেমন লাগে?
মৌসুমী মৌ: আসলে ভিন্ন ধারার কাজই করতে চাই। আমার মনে হয় অধিকাংশ শিল্পীরই ইচ্ছা থাকে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়েও কিছু কাজ করার। এতে চ্যালেঞ্জ থাকে। আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ছিলো ‘বলি’। ‘বলি’ও ভিন্ন ধারার গল্প। আর আমাকে মানুষ নিয়মিত উপস্থাপনায় দেখে। নিজেকে একটু পরিবর্তন করে ভিন্ন লুকে ভিন্ন গল্পে উপস্থাপন না করলে একঘেয়েমি লাগবে।
ডেইলি বাংলাদেশ: ‘জহরে কহরে’ স্ক্রিপ্ট পড়ার পর এমন কী পেয়েছেন, যে জন্য আপনি কাজ করতে আগ্রহী হলেন-
মৌসুমী মৌ: ওইযে বললেন ভিন্ন ধারা। এই গল্প তেমন। টুইস্ট আছে, থ্রিলার গল্প। উপস্থাপক মৌসুমী মৌ থেকে বের হতে পারবো এই গল্পে অভিনয় করলে।
ডেইলি বাংলাদেশ: আপনার অভিনয় দর্শক দেখতে চায়, কিন্তু আপনি কাজ করছেন কম। এটার পেছনের কারণ জানতে চাই-
মৌসুমী মৌ: কাজের সুযোগ আসছে বেশ । তবে আমি একটু ধীরে ধীরেই আগাতে চাই। উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ততা অনেক। সময় মেলানো কঠিন। সময় মিললে গল্প ভালো লাগে না, নানারকম জটিলতা। যখন আমি স্কয়ার সুরের সেরা রিয়ালিটি শো উপস্থাপনা করছি। তখন একজন নারী নির্মাতার সিনেমায় সবকিছু ফাইনাল করেও কাজটি করতে পারিনি। তিনি আমাকে ছাড়ও দিয়েছেন কিন্তু দু’টো করতে গেলে কোনোটাই আসলে ভালো হতো না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত নির্মাতা আবু সাঈদ তাঁর পিপলস ফান্ডিংয়ের যেই সিনেমাটি নির্মাণ করলেন সেটার বিষয়েও কথা বলেছিলেন। সিনেমার নায়ক আব্দুন নুর সজল ভাইয়াও চাচ্ছিলেন আমি কাজটি করি। কিন্তু মার্চ মাসের ২১ থেকে ৩১ তারিখ আমার ৮টা ইভেন্ট আগে থেকে কনফার্ম করা ছিলো কোনো ভাবেই ডেট দেয়া সম্ভব হয়নি।
ডেইলি বাংলাদেশ: অভিনয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলুন-
মৌসুমী মৌ: আমার জীবনে পরিকল্পনা করে কিছু হয় না। আমি যেহেতু থিয়েটার করা। আমি প্রাচ্যনাটের ২৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমি মূকাভিনয় করি। আগামী ২৬ জুলাই আমি দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছি ৩১তম এশিয়া সলো মাইম ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করতে। আমি আসলে অভিনয়ের মাঝেই আছি। একটু একটু করে আগাতে চাই কেবল।
ডেইলি বাংলাদেশ: আশীষ খন্দকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানতে চাই-
মৌসুমী মৌ: আশীষ খন্দকার অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী। তাঁর অভিনয়ের আলাদা একটা প্যাটার্ন আছে। একজন নবীন হিসেবে আমার একটু বেগ পেতে হচ্ছিল।
ডেইলি বাংলাদেশ: ‘জোহরা’র প্রশংসা করছে সকলে। চরিত্রের ভেতর ঢুকতে কোনও ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন-
মৌসুমী মৌ: প্রস্তুতি নিতে পারলে আরও ভালো হতো কাজটি। আমি টানা কোনো বিশ্রাম পাইনি। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী অফিশিয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে মাদারীপুর শিবচর গিয়েছিলাম। এরপরের দিনগুলোও শো ছিলো। ২৭ তারিখ ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সেতু বিভাগের শো করে রাতে বাসায় ফিরে ভোরে চলে গেছি মানিকগঞ্জ জহরে কহরের শুটিংয়ে। আমার নির্মাতা রাকায়েত রাব্বি এবং তার টিমের সহযোগিতা ছাড়া কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএইচএস/টিএএস