উচ্চশিক্ষিত স্বামীকে ছেড়ে গেল স্ত্রী, হতাশায় মা-বাবার আত্মহত্যা
প্রকাশিত: ০১:৪০ ১১ জানুয়ারি ২০২১

রোববার সকালে হুগলির কোন্নগরের এস সি চ্যাটার্জি স্ট্রিটের এই বাসা থেকে দীপক সরকার ও ভবানী সরকারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ
উচ্চশিক্ষিত ছেলে চাকরি না করে হোম ডেলিভারির ব্যবসায় নামায় হতাশায় বৃদ্ধ বাবা-মা আত্মহত্যা করেছেন। রোববার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের হুগলির কোন্নগরে।
জানা গেছে , ওই দম্পতির নাম দীপক ও ভবানী সরকার। দু’জনই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। কোন্নগরের এস সি চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটে ছেলের সঙ্গে থাকতেন তারা। ছেলে দিব্যেন্দু উচ্চশিক্ষিত। আগে ট্যুরের ব্যবসা করতেন। বছর দেড়েক আগে বিয়েও করেন। কিছুদিন করোনায় লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেই ব্যবসা। ফলে আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়। এরপর বাধ্য হয়েই হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করেন দিব্যেন্দু। যা তার বাবা-মা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
এমন পরিস্থিতিতে ওই যুবকের স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। অনটনকে সঙ্গী করেই চলছিল বাবা-মা ও ছেলের সংসার। অন্যান্যদিনের মতোই শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমাতে যান ওই বৃদ্ধ দম্পতি।
দিব্যেন্দু জানান, রোববার সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মা ঠাকুর ঘরে আর বাবা ঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনে আর্থিক সমস্যার কারণে পারিবারিক জীবনও অশান্ত হয়ে উঠেছিল তাদের। সেইসঙ্গে উচ্চশিক্ষিত ছেলের হোম ডেলিভারির পেশার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন ওই দম্পতি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এ মানসিক অশান্তির জেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। প্রতিবেশীরা জানান, অত্যন্ত ভাল ছিলেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। কোনোদিন কাউকে আঘাত করে কথা বলতেন না। সরকার দম্পতির মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া এলাকায়।
ডেইলি বাংলাদেশ/এআর