সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানে এরদোগানের আপত্তি
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ ১৪ মে ২০২২

ছবি: সংগৃহীত
ন্যাটো জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগ দেওয়ার উদ্যোগে আপত্তি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা সমর্থন করছে না তুরস্ক। ধারনা করা হচ্ছে , পশ্চিমা সামরিক জোটে দেশ দুটিকে সদস্যপদ প্রদানের বিরুদ্ধে ভেটো দিতে পারে আঙ্কারা।
সাংবাদিকদের এরদোগান বলেছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড বিষয়ে চলমান অগ্রগতি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে আমাদের মত পক্ষে নয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যায় সুইডেন ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো কুর্দি জঙ্গিদের সমর্থনের অভিযোগ তুলেছেন। কুর্দিদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক।
এরদোগান জানান, ১৯৮০ সালে পুনরায় গ্রিসকে ন্যাটোর সদস্য করার মতো অতীতের ‘ভুল’ পুনরাবৃত্তি করতে চায় না তুরস্ক। তিনি দাবি করেন, ওই ভুলের কারণে ন্যাটোকে পেছনে রেখে তুরস্কবিরোধী মনোভাব নিতে পেরেছে গ্রিস।
এরদোয়ান বলেননি যে নরডিক দেশ দুটির ন্যাটো যোগদান ঠেকানোর উদ্যোগ নেবেন তিনি। তবে ন্যাটো জোটের সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া হয়। যার অর্থ হলো, নতুন রাষ্ট্রকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ৩০টি সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
আরো পড়ুন: দিল্লিতে বহুতল ভবনে আগুন, নিহত ২৭
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোটে যোগদানের আবেদন করলে তাদের স্বাগত জানানো হবে।
বেশ কয়েকজন ন্যাটো কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগদানের প্রক্রিয়া ‘কয়েক সপ্তাহের’ মধ্যে শেষ করা সম্ভব। যদিও সদস্যপদ প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতে প্রায় ৬ মাস সময় লাগতে পারে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির মুখে সুইডেনও নিজেকে হুমকির মুখে মনে করছে। প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি রবিবার ন্যাটো জোটে যোগদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএএইচ