বিয়ে করার শর্তে অভিনয় করতে পেরেছিলেন রাজ্জাক
প্রকাশিত: ১৬:৪৯ ২৩ জানুয়ারি ২০২১

রাজ্জাক ও তার স্ত্রী খায়রুন্নেছা লক্ষ্মী
ঢাকাই ছবির অহংকার নায়করাজ রাজ্জাক। যার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে নায়করাজ নামটি শুনলেই। তিনি জয় করেছেন অসংখ্য ভক্তদের হৃদয়। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। যার মধ্যে ছুটির ঘণ্টার স্কুল দফতরি, জীবন থেকে নেয়ার বিপ্লবী যুবক অন্যতম।
তবে ছেলেবেলায় এই অভিনয়ের অনুমতির জন্য পরিবার একটি শর্ত দিয়েছিল রাজ্জাককে। শর্তটা হচ্ছে বিয়ে। আর সে জন্যই মাত্র ১৯ বছর বয়সে খায়রুন্নেছা লক্ষ্মীকে বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেতা।
২০১৫ সালের একটি সাক্ষাৎকারে এই গল্প জানিয়েছিলেন রাজ্জাক। বলেছিলেন, “বিয়ে করেছি খুব অল্প বয়সে। কারণ, আমরা যে পাড়ায় থাকি, বান্ধবী অনেক। প্লাস নাটকের সোর্সে আরো মেয়েদের সঙ্গে আলাপ শুরু করাতে ফ্যামিলি ভয় পেয়ে গেল, কোনো অঘটন না ঘটিয়ে ফেলি! একদিন বাড়ি ফিরে দেখি মিটিং হচ্ছে। কী মিটিং? ‘তুমি নাটক করতে পারবে না।’ নাটক আমি ছাড়ব না। ডিসিশন নিল, ‘নাটক যদি করো, তাহলে তোমাকে বিয়ে করতে হবে।’ আমি এই বয়সে বিয়ে করব না। বলল, ‘কোনো প্রবলেম নেই।’ বিয়ে করলে নাটক করতে পারব? ‘হ্যাঁ।’ ঠিক আছে, দাও বিয়ে। তবু নাটক ছাড়ব না। এক বছরের মধ্যে বিয়ে করলাম। তখন আমার বয়স ১৯। আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা খুব ভালো ছিল। তাকে আমি বলেছি, সেও জানত। যেহেতু আমার পাড়া থেকে বেশি দূরে না, মাইল তিনেক দূরে তাদের বাড়ি। যখন বিয়ে হয়নি, সে আমার নাটকও দেখেছে। তার সঙ্গে একটাই কথা ছিল- নাটক আমার প্রথম প্রেম। এর পরে কিন্তু তুমি। সেটা সে সারা জীবন মেইনটেইন করেছে। ফিল্মে আসার পরও করেছে।”
রাজ্জাক ১৯৪২ সালের আজকের দিনে (২৩ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সেই হিসেবে তিনি বেঁচে থাকলে আজ ৭৯ বছর ছুঁতেন। জন্মস্থান কলকাতায় সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
ডেইলি বাংলাদেশ/এএ