সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
প্রকাশিত: ১৩:৫৪ ১৯ মে ২০২২

আহত মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আনাস ভুইঁয়া।
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আনাস ভুঁইয়া (২৪)।
বুধবারন বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে কাগমারী অঞ্চল থেকে পেছন থেকে একটি সিএনজি তাকে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে মাথায়, মুখের নিচে, হাতে, পেটে আঘাত পান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সিএনজি চালক তার সিএনজি যাত্রীসহ রেখে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীর বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর আহত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন কাগমারী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ (নিঃ) হলে ও পরে তাকে হলে নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই রাস্তা দিয়ে সিএনজি, ট্রাকগুলো অনেক গতিতে চলাচল করে। আজ ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে, পরে যে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেহেতু সামনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ রয়েছে তাই ট্রাক সিএনজি ড্রাইভারদের গতি কমিয়ে চলাচল করা উচিত।
আহত শিক্ষার্থী আনাস ভুইঁয়া দুর্ঘটনার ব্যাপারে ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমার বাসা কিশোরগঞ্জের ফরিদপুরে। মাভাবিপ্রবির বিএমবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ১ম সেমিস্টারে অধ্যয়ন করছি। ঘটনা হলো- আমি আস্তে আস্তে রাস্তার এক পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাগমারীর দিকে যাচ্ছিলাম। পেছন থেকে হঠাৎ এক সিএনজি আসে। তারপর আমার বাইসাকেলের হ্যান্ডেলে আঘাত করে, আর আমি পড়ে যাই রাস্তায়। মুখে, হাতে ও বুকে আঘাত লেগেছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে জরুরি সেবা গ্রহণ করেছি। ব্যাথার ইনজেকশন দেয়ার কিছু বুঝতে পারছি না। রাস্তায় থাকা লোকজনের প্রত্যক্ষ করেছে ঘটনাটা৷ যেহেতু ড্রাইভার অন্যায় করেছে তাই সে সঙ্গে সঙ্গে পলায়ন করেছে।
এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনা জানার পর আমি নিজেও শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছি এবং কাগমারী ফাঁড়ির পুলিশকে জানিয়েছি। আমি আহত শিক্ষার্থীর সবসময় খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এই বিষয়ে কাগমারী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ (নিঃ) বলেন, মাভাবিপ্রবির প্রক্টর থেকে আমরা ঘটনা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি সিএনজি উদ্ধার করেছি এবং আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসলে আমরা তার সাক্ষ্যগ্রহণ করবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম