দেশের উন্নয়নে পদার্থ বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য: চুয়েট উপাচার্য
প্রকাশিত: ১৬:০২ ২৩ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১৯:৩৬ ২৩ জানুয়ারি ২০২২

রোববার চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পদার্থ বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, পদার্থ বিজ্ঞান হলো সবচেয়ে মৌলিক বৈজ্ঞানিক শাখাগুলোর মধ্যে অন্যতম। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মহাবিশ্ব কিভাবে আচরণ করে তা বোঝা। ভবিষ্যত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান পদার্থ বিজ্ঞানই তৈরি করে। তাই বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চুয়েট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী চতুর্থবারের মতো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য প্রত্যাশা করেন, দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে সবার জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই কনফারেন্স সফলতা অর্জন করবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৫০ বছরে দেশের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনফারেন্স স্পিকার ছিলেন বুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স চেয়ার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এইচ এম এ আর মারুফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিমেষ কুমার চক্রবর্তী।
এবারের কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি’। দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে ৫টি কী-নোট স্পিচ, ৯টি ইনভাইটেড স্পিচ, ৮টি টেকনিক্যাল সেশন এবং একটি পোস্টার সেশনে মোট ১০১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। দ্বিতীয় দিনের কনফারেন্সে প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, বুয়েট, সাস্ট, জবি, কুয়েট, বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের শিক্ষক-গবেষক ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
একইদিন দেশের প্রতিথযশা পদার্থবিদ অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রায়সহ কনফারেন্সের সব কী-নোট স্পিকার, ইনভাইটেড স্পিকার, সেশন চেয়ার, কো-চেয়ার ও অংশগ্রহণকারীদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে কী-নোট স্পিকার ছিলেন কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ওয়েইন কে. হাইবার্ট, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাসিত এবং বিএএস ফেলো অধ্যাপক ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম।
এছাড়া সমাপনী দিনের কী-নোট স্পিকার ছিলেন শাহজাহাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ড. আবদুল গফুর।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম/এমএস/আরএইচ