কেমন হবে পড়াশোনার রুটিন?
প্রকাশিত: ২২:০৬ ১৬ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১৬:১৫ ১৭ জানুয়ারি ২০২২

ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জনের জন্য প্রয়োজন ভালো প্রস্তুতি। আর সে ভালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য দরকার পরিকল্পনা মাফিক পড়াশোনা। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়লে পরীক্ষার সময় চাপ অনেক কমে যায়। রুটিন মাফিক পড়াশোনায় আসবে ভালো ফলাফল। পড়াশোনার রুটিন কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে থাকছে কিছু পরামর্শ।
বাসায় পড়াশোনার রুটিন দুই রকমের হতে পারে। সাপ্তাহিক অর্থাৎ এটা পরীক্ষার সময় ছাড়া অন্য যে কোনো সময়ের জন্য। অন্যটি, পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতির জন্য।
সাপ্তাহিক রুটিনে শিক্ষার্থীর খেলাধুলা, বিনোদন, ঘুম ও অন্যান্য কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বাদ দিয়ে যা থাকবে, তার মধ্যে থেকেই পড়ার সময় বের করতে হবে। প্রতিদিন সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে কোন কোন বিষয়ের জন্য কতক্ষণ সময় বরাদ্দ রাখবে, তা ঠিক করবে ক্লাসের রুটিনের সঙ্গে মিল রেখে। এতে সুবিধা হলো, ক্লাসে যে বিষয়টি পড়ানো হয়েছে, বাসায় তা আরেকবার ঝালিয়ে নেয়া যাবে। যেসব বিষয়ে দূর্বলতা বেশি, রুটিনে সেগুলোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সময় বরাদ্দ রাখবে।
সাপ্তাহিক সূচিতে সময় ও বিষয়কে এমনভাবে বণ্টন করবে, যাতে বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত সময় দেয়া যায়। অর্থাৎ কোনো বিষয় ফেলে রাখতে না হয়।
রুটিনে দিন ও রাতের পড়ার বিষয় নির্ধারণে কৌশলী হবে। যেমন- গণিত অনেক শিক্ষার্থীরই ভোরের সূচিতে থাকে। কারণ ওই সময়টা মনোযোগ দেয়ার জন্য কিংবা পাঠ মনে রাখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। একইভাবে ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো কোন সময়ে রপ্ত করতে পারবে, এসব বিষয়ে প্রতিদিন কয় ঘণ্টা করে সময় দেবে, ভেবেচিন্তে সেভাবেই রুটিনে রাখবে।
পরীক্ষার পূর্বে রুটিন করবে তারিখ ভিত্তিক। ১০ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু। আর আজ ১ তারিখ। পরীক্ষার আগের দুই-তিন দিন (৭-৯ তারিখ) রাখবে প্রথম পরীক্ষার জন্য। আর ১ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত এমনভাবে পুরো সূচি ও দিনের সূচি বণ্টন করে নেবে, যাতে বাকি সব বিষয়ে রিভিশন দেয়া যায়। বিশেষ করে, যেসব বিষয়ের পরীক্ষার আগে বন্ধ নেই, যেসব বিষয়কে রুটিনে বেশি প্রাধান্য দেবে।
রুটিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পাঠ শেষ হচ্ছে না, তাহলে বাড়তি সময় নাও। তবে এই বাড়তি সময়ের জন্য যেন রুটিনের বাকি বিষয়ে বরাদ্দ সময়ের কমতি না হয়। তোমার রুটিনে সন্ধ্যা/রাতে ৩টি বিষয়ে ১ ঘণ্টা করে মোট ৩ ঘণ্টা (সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা) বরাদ্দ। কোনো বিষয়ে ৩০ মিনিট বেশি দেয়ার দরকার হলে তোমার রুটিনের সময়সীমা গিয়ে দাঁড়াবে রাত ১১টা ৩০ পর্যন্ত।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম