৩৭ পদের পিঠার স্বাদে পৌষ উৎসব
প্রকাশিত: ১৯:৫১ ১২ জানুয়ারি ২০২২ আপডেট: ১০:০৭ ১৮ জানুয়ারি ২০২২

‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতা ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’ শ্লোগানে ইবিতে পৌষ উৎসব
বাহারি স্বাদের ও বিভিন্ন নকশার ৩৭ পদের পিঠার পসরা সাজিয়ে দাড়িয়ে আছে কিছু তরুণ-তরুণী। পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের পছন্দের পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কেউবা আবার প্রিয় ব্যক্তির সাথে এই স্বাদ শেয়ার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।
এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত পৌষ উৎসবের চিত্র। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এ ব্যতিক্রমধর্মী উৎসবের আয়োজন করে।
আরো পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দুটি বিভাগের অনুমোদন
‘হিম হিম শীতের বাতাস, উষ্ণতা ছড়ায় পিঠা পুলির সুবাস’ শ্লোগানে বেলা সাড়ে ১টায় পৌষ উৎসব উপলক্ষে র্যালি শুরু করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে মিলিত হয়।
পরে সেখানে পৌষ উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব মুর্শেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, সহযোগী অধ্যাপক রোজী আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ফৌজিয়া খাতুন। এসময় বিভাগের অন্য শিক্ষকরা সহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: টানা ছয় স্বর্ণপদক জয় ইবি শিক্ষার্থীর
আলোচনা সভা শেষে পৌষ উৎসব ও “পিঠা বিলাস”গ্যালারির উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শেদ। “পিঠা বিলাস" গ্যালারিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে প্রস্তুতকৃত বাহারি নকশার ৩৭ পদের পিঠা পরিবেশন করেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পাটিসাপটা, দুধ সরু, পাতা নকশী, পাতা ,ঝাল পুলি, বিস্কুট , বরফি, পায়েস, ডিম সুতি, পাটি সাপটা, বকুল, শঙ্খ, শুকনো, সিদ্ধ কুলি ও দুধ চিতই। গ্যালারির পাশে বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন: জন্মদিনের কেক খেতে ছাত্রী মেসে ছাত্র, ধরা পড়লেন অন্তরঙ্গ মুহূর্তে
সভায় ড. সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, পৌষের সকালে শিক্ষার্থীদের সবার নতুন সাজ দেখে খুব ভাল লেগেছে। শিক্ষার্থীরা তারুণ্যের উদ্দীপনাকে কাজে লাগিয়ে এরকম ভাল কাজ উপহার দিবে এটাই প্রত্যাশা। এই ব্যতিক্রমী কাজ সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা খানম আশা বলেন, শীত এলেই আমাদের দেশে বিভিন্ন আয়োজনের ধুম পড়ে। শীতকালকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান আয়োজন থাকলেও আমাদের ক্যাম্পাসে এমন আয়োজন চোখে পড়ে না। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখে গভীররাত পর্যন্ত করা কষ্ট স্বার্থক মনে হচ্ছে। এমন আয়োজন ধারাবাহিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যাহত থাকুক এটাই প্রতাশ্যা।
আরো পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন ইবির ১৪ শিক্ষার্থী
পৌষ উৎসবে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিক বলেন, বাংলা বিভাগে এ আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী সব বাহারি পিঠা একসাথে এখন সচারচর চোখে পড়ে না। আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এরকম আয়োজন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম