গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রস্তাব

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় যেতে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- পর্যায়ক্রমে ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান পরিবর্তন করতে হবে। এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসন বিন্যাস করতে হবে। 

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপত্বিতে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব প্রস্তাব তোলা হয়েছে।

বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুসারে, প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান বুয়েট থেকে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্র শুধুমাত্র বুয়েটেই হবে। তবে, কমিটিতে অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশীদারিত্ব থাকবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি।

এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইংরেজি বানানের আদ্যক্ষর দিয়ে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান এবং ভর্তি পরীক্ষা চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বুয়েট ছাড়া অন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। এ দুটি বিষয়ে বুয়েট আগামী সপ্তাহে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবে।

সভায় বুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর জব্বার বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছেন। বুয়েটের চলমান ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন নেই। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ধরনের বিপর্যয় যাতে না ঘটে, সেদিকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

সভায় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর বলেন, শিগগিরই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সবার জন্য মঙ্গলজনক।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি উদারভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সভায় যুক্ত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান হোসেন ।

এছাড়া সভায় অংশগ্রহণ করেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান এবং বুয়েটের তিনজন অধ্যাপক।

এদিকে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় ৪ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিরা জানান, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সবাই নীতিগতভাবে সম্মত রয়েছেন।