বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় রাবি শিক্ষক
প্রকাশিত: ১৪:০৭ ১৯ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রনজিত কুমার বিশ্বাস
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রনজিত কুমার বিশ্বাস। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএলওএস বায়োলজি জার্নালে সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. রনজিত কুমার বিশ্বাস।
এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ২৬ জন শিক্ষক ও গবেষক। মেটাসায়েন্স বিষয়ে গবেষণায় বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের এ তালিকায় তিনি রয়েছেন ২৮৪তম স্থানে।
অধ্যাপক রনজিত কুমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। ড. বিশ্বাস মূলত মাইনিং অ্যান্ড মেটালার্জি বিষয়ে গবেষণা করেন। তিনি স্টোরেজ সেলের বর্জ্য থেকে লেড নিষ্কাশন, টর্চের ব্যাটারি থেকে ধাতু নিষ্কাশন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।
বিজ্ঞান ও গবেষণায় তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, ২০১৩ সালে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার ১২০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
আরো পড়ুন: রাবির ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়’ পাচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড
ড. বিশ্বাস কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা এবং পরে ১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সালে অধ্যাপক পদে তার পদন্নোতি হয়। গতবছর অবসর গ্রহণের মাধ্যমে তিনি অধ্যাপনাকাল শেষ করেন।
আন্তর্জাতিক এই খ্যাতনামা গবেষক কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ একাডেমিক স্টাফ বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। ইতালির পেরুগিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতে ধাতববিদ্যা গবেষণা পরীক্ষাগারে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিষয়ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রমে অবদানের ভিত্তিতে গবেষকদের এক বৈশ্বিক ডাটাবেজ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে সারা বিশ্বের দেড় লাখেরও বেশি গবেষক বিষয়ভিত্তিক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে তাদের নিজস্ব গবেষণাকাজের সংখ্যা ও সাইটেশনের ভিত্তিতে এ তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে।
ডেইলি বাংলাদেশ/জেডএম