‘স্টক এক্সচেঞ্জকে শক্তিশালী হতে হবে’
প্রকাশিত: ০২:৫৯ ১ নভেম্বর ২০২০

সালমান এফ রহমান
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। শেয়ারবাজারের দায়িত্ব শুধু সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির নয়। স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু বসে থাকবে, তা নয়; তাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে।
শনিবার ‘শেয়ারবাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, এই যে প্রতিদিন স্টক এক্সচেঞ্জের চোখের সামনে ও নাকের নিচে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে, তারা কী অ্যাকশান নিয়েছে? তাদেরই ব্রোকাররা এসব করছে। তাই সরকারকে দোষারোপের পরিবর্তে মনস্তাত্বিক পরিবর্তন আনতে হবে। পরিপক্ক বাজারের দিকে যেতে হলে, এটা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজারে যদি কোনো দুই নম্বরি হয়, সেটা প্রথমেই ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তাদের ওখানেই তো প্রতিদিন লেনদেন হয়। যেকোনো ধরনের অনিয়মের লেনদেন দেখলে বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এখনো আমাদের শেয়ারবাজারে যে কোম্পানি বন্ধ এবং সবাই সেটা জানি, তারপরেও সেই কোম্পানির দর বাড়ে। কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কেনে এবং কারা বিক্রি করে, তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এখানে যে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে এবং ওপেনলি হচ্ছে, লুকিয়ে কেউ করছে না। কিন্তু বাজার পড়ে গিয়ে কোনোকিছুই হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে।
আমাদের শেয়ারবাজার উন্নতির পথে রয়েছে, জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, এই বাজার নিয়ে আমরা আশাবাদী। এক্ষেত্রে সবাই যেভাবে কাজ করছে, একইভাবে ডিএসইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, রিটেইল ইনভেস্টরদেরকে প্রটেকশন দেয়ার দায়িত্ব সরকারের, এই মনস্তাত্বিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনি বিনিয়োগ করেছেন, আপনাকেই জেনে-শুনে করতে হবে। লাভ-লস আপনার।
আমাদের বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই, উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা বড় দুর্বলতা। রিটেইল ইনভেস্টর বেশি। স্টক এক্সচেঞ্জে ৮০-৮৫ শতাংশই রিটেইল বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অবদান খুবই কম। আর বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অংশ ৩ শতাংশ বলা হলেও লেনদেনে আরও নেই। আইসিবি ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই বললেই চলে। কিন্তু একটি বাজার তো একমাত্র আইসিবি দিয়ে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, সাপ্লাইয়ের দিক নিয়ে আমরা অনেক কথা বলছি। কোম্পানিকে আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা নিয়ে কথা হয়। সব জায়গায় এই সাপ্লাই বাড়ানো নিয়ে কথা হয়। কিন্তু আমি মনে করি, ডিমান্ডও বাড়াতে হবে। এই ডিমান্ড বাড়ানোর জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স মানি আছে। এছাড়া, বিও অ্যাকাউন্ট ডিজিটাল করার মাধ্যমেও ডিমান্ড বাড়ানোর যেতে পারে। এখন ব্যাংকগুলো অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। বিও অ্যাকাউন্ট এভাবে খুলতে পারলে, ডিমান্ড সাইডকে সাহায্য করবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএ