একাত্তর জার্নাল একাত্তর টিভি ২৩৪০ ঘটিকা ০৫ মার্চ ২০২১
2021-03-05 23:40:00
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাঃ
আড়াই বছরের মাথায় এসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ নিয়ে যে জায়গাটায় আমরা এসেছি ফলে এই অপপ্রয়োগ হবেনা এ নিশ্চয়তা কী করে দেওয়া হবে সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। এই আইনের সুযোগ সমাজ বিরোধীরা বেশি নিয়েছে। এই আইনের কোথাও অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হলে সেটিকে বিন্যাস করতে হবে। তাহলে সেই ৬৯ ধারাকে আপনি বিবেচনা করেন। আপনার কাছে আইনের মধ্যে প্রভিশন আছে, যেন কোন ব্যক্তি বিশেষ গোষ্ঠি এই আইনটার অপব্যবহার করতে না পারে।
ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারঃ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা এসেছে আরেকটি আইনের সাবস্টিটিউট হিসেবে। ২০০৬ এর ৫৭ ধারার আইন, এটাকে ভেঙে আসলে ৬টা বা ৭টা ধারায় বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। কোথাও কিছু ঘটলে পুলিশ অফিসার অবশ্যই মামলা করুক কোন সমস্যা নেই কিন্তু মামলা করতে পারবে এবং তাকে যেন আদালতে যেতে হয়। আদালতের মাধ্যমেই যেন গ্রেফতারী পরোয়ানা আসে কিন্তু সরাসরি পুলিশের মাধ্যমে নয়।
ডা. এ এস এম আলমগীরঃ
ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কতদিনে এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে সেটা সবাই পর্যালোচনা করছে, এমনকি আমরাও করছি। সারাদেশে প্রতিনিধি দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে গবেষণা করা হবে যে এন্টিবডি হচ্ছে বা কতদিনে তৈর হচ্ছে। ঢাকা জেলা থেকে উপজেলা পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম বিস্তৃত থাকবে। শুরু করার মতো টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করছি কিন্তু রাষ্ট্রের পক্ষে সব বিষয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব নয়। এখানে অর্থনৈতিক ব্যাপারও জড়িত আছে।
ডা. তাজুল ইসলাম এ বারীঃ
করোনা ভাইরাসের ৬টার মধ্যে ৪টাই কমন ফ্লু যেটা আমরা পেয়েছি। কারণ প্রতি বছরই আমরা ফ্লু এ জন্য ৪টা ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিলো সার্স-১, সেটারও মহামারী আকারে দেখা গিয়েছে। আর ২০১২ সালে একটা হয়েছিলো মার্স অর্থাৎ ৪ আর ১ হয়ে যায় ৫। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ হিসেবে ধরা পরলো এই ফ্লু অর্থাৎ আমাদের কাছে এই জাতীয় ভাইরাস ৬টি। ৪টার ভ্যাকসিন এক বছর পর পরই দিতে হচ্ছে কারণ রোগের পরিবর্তন ঘটছে।
আসিফ ইবনে আলমঃ
চালের দাম বাড়ার প্রথম কারণ হচ্ছে ধানের দাম অনেক বেশি। গত বছর এই সময়ে মোটা ও চিকন ধানের চেয়ে এখন অনেকগুণ বেশি। আরেকটা হচ্ছে ভারত থেকে যে চাল আমদানী করা হচ্ছে সেটা যদি আরও আগে থেকে করা হতো এবং শুল্ক যেটা ২৫% পর্যন্ত সরকার করেছে, সেটা আরও কমিয়ে ১০-এ নামিয়ে আনতো তাহলে একটা প্রভাব মার্কেটে থাকতো। আবার এবার প্রাকৃতিকভাবে ধান কিছু কম উৎপাদিত হয়েছে।
এস এম নাজের হোসাইনঃ
ব্যবসায়ী বন্ধুরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের অজুহাত দাঁড় করায়। তাই চালের দাম বেশি এমন অজুহাত সব সময়ে তারা দাঁড় করিয়ে থাকে। এটা তাদের একটা রুটিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। চাল সংকটটা আজকে বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে। যারা ভারত থেকে অর্থাৎ বাহির থেকে চাল আমদানী করছে তারাই কিন্তু মিল মালিক।