রাজকাহন ডিবিসি নিউজ ২২০০ ঘটিকা ০৩ মার্চ ২০২১_
2021-03-03 22:00:00
শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রমঃ
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সরকারের জান তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং মিয়ানমারের জনতা বলছে এরা আমাদের প্রতিনিধি নয় কিন্তু জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এই জনতার গ্রহণযোগ্যতা আসলেই নেই কারণ নির্বাচিত সরকার থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিল সেদিন থেকে মিয়ানমারের ক্রমাগত বিরোধিতা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহলে তারা কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে না কিন্তু তুলনামূলকভাবে নিরব। প্রথমে চীন ভেবেছিল যে এটা একটি মন্ত্রিপরিষদের রদবদল, চীনের আন্তর্জাতিক মহলে যারা আছেন, তারা এটি শক্তভাবে দেখছেন। মিয়ানমারের ভেতরে সামরিক অভ্যুত্থান নেই, শুধু সাধারণ জনগণ নয়, পেশাজীবীরাও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
মুন্সী ফয়েজ আহমদঃ
মিয়ানমারের উপরে যে চাপ আসছে সেটা তারা বহন করছে, সেজন্য তারা নানারকম পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে বোঝা যায় তারা চাপ ভোগ করছে সুতরাং সেটা ভালো। চীনের বক্তব্য পরিষ্কার না, চীন প্রথমে একরকম বলেছে, এখন আরেক রকম বলছে এবং চীন যে মিয়ানমারের পাশে থাকবে না সেটা আমি ওইভাবে মনে করি না। চীনের এ ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু মিয়ানমারে না, বিভিন্ন জায়গায় তারা কিন্তু সরাসরিভাবে হস্তক্ষেপ স্বাভাবিকভাবে করে না। মিয়ানমারের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে, সবাই মনে করে যে মিয়ানমারে চীনের বিশেষ স্বার্থ রয়েছে। সেসব কারণেই তারা মিয়ানমারে যখন যেই ক্ষমতায় থাকুক, যেভাবে থাকুক, তাদেরকে সহজে তারা বিরক্ত করেন না।
অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিনঃ
মিয়ানমারে সুচির উপরে যে ধরনের আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আছে সেটা কিন্তু আর কারো সাথে তুলনা করলে আমাদের একটু ভুল হবে। আজকে মায়ানমারের যে চিন্তা হয়েছে সেটা কিন্তু মায়ানমারের প্রশাসনিক গ্রুপ। মিয়ানমারের উপরে যে চাপ তৈরি করা হয়েছে, তখন থেকে সুচি এটা মেনে নিয়েছে এবং সেটা মেনে নিয়েই এই সিস্টেমের মধ্যে নিজেকে তিনি একাত্ম করেছেন। নির্বাচিত সরকার আর ডেমোক্রেসির মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে এবং এই অবস্থার মধ্যে তিনি যে আপোষ করেছেন, কেননা তিনি শুধুমাত্র একটি ক্ষমতার পাওয়ার জন্য আপস করেছেন।