তৃতীয় মাত্রা চ্যানেল আই ০১০০ ঘটিকা ০২ মার্চ ২০২১
2021-03-02 01:00:00
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনঃ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মুজিব বর্ষ তার মধ্যে দিয়ে আমাদের গ্রাজুয়েশনের যে প্রাপ্তি সুতরাং এটা হ্যাটট্রিক প্রাপ্তির আনন্দ আমরা কিছুটা হলেও নিচ্ছি করোনার মধ্যে। সিপিডির যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তাদের সাথে আমরা মিটিং করেছি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য তারা প্রথমে আশ্চর্য হল যে বেশিরভাগ দেশ কিভাবে এটা থেকে এড়িয়ে যেতে পারে সেদিকেই তাদের চেষ্টা আর বাংলাদেশ এত খানি কনফিডেন্ট যে তারা দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। তখন তারা বলেছিল আমাদের ভেবেচিন্তে সামনের দিকে আগানো উচিত কারণ এখানে একটা লম্বা প্রসেস আছে এই প্রসেস কন্টিনিউ করতে পারলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আমাদের বড় যে ঝুঁকি সেটা অনেকটা কমে যাবে এবং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি আছে সেটা বাড়বে। আমাদের জাতির পিতা যে শোষনহীন সমাজ বা সুবিচার রাখা স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটাকে আমরা সোনারবাংলা হিসেবে বলতে পারি। জাতি হিসেবে আমরা কিন্তু একটা হোমোজিনিয়াস দেশ, অনেক দেশ আছে সেখানে নানারকম একমি সিটি নিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা আছে এই দিক থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। যখন পশ্চিম পাকিস্তান ছিল তখন আমাদের এই দেশ এলিট বেস্ট একটা ব্যাপার-স্যাপার ছিল কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই কিন্তু আমরা দেখতে পারছি আমাদের সেই সমস্যাগুলো নাই।
ড. মোস্তাফিজুর রহমানঃ
উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া জন্য বাংলাদেশের ধারাবাহিক যে উন্নয়ন সেই উন্নয়নের এটা একটা প্রতিফলন আবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বটে। স্বাধীনতার জয়ন্তী বছরে এটা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য বাড়তি গৌরবের। স্বল্প উন্নত থেকে উত্তরণের আমরা যদি উন্নয়নশীল দেশ হই তাহলে ব্র্যান্ডিংয়ের যে ব্যাপারটা এটার ইতিবাচক অনেক দিক আছে। এবং আমাদের প্রাইভেট সেক্টর যখন বাইরে ঋণ গ্রহণ করতে যাবে সেখানে তারা সুবিধা পাবে। কিন্তু চ্যালেঞ্জের দিক যেগুলো আছে সেগুলো হলো স্বল্পোন্নত দেশগুলো বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে সেই সুবিধাগুলি হয়তো পাবে না। এর আগে যতগুলো দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে গ্রাজুয়েশন হয়েছে সেখানে যদি দেখি তাহলে সবাই এগুলো ডেফেয়ার করার চেষ্টা করেছে এই কারণে যে আরো কিছুদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে থাকলে আমরা অনেক সুবিধা পেতে পারি।