নিউজ আওয়ার এক্সট্রা এটিএন নিউজ ২১৩০ ঘটিকা ০১মার্চ ২০২১_
2021-03-01 20:00:00
ড. এ কে আব্দুল মোমেনঃ
উনি বড় লেখক বা কবি এটা কোনো বিষয় না, উনি জেলে মারা গেছেন, অবশ্যই এটার একটা তদন্ত হওয়া উচিত এবং উনি যদি অস্বাভাবিকভাবে মারা গিয়ে থাকেন তবে দোষীদের নিশ্চয় শাস্তি হওয়া উচিত। আমেরিকাতে যদি এমন কোনো ঘটনা হতো তাহলে দুঃখ প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু কেউ বলবে না যে আইন চেঞ্জ করতে হবে। আমার দেশের লোক যদি বলতো তবে সমস্যা ছিল না কিন্তু উনি বাইরের লোক হয়ে কেন এখানে নাক গলাবেন? আমাদের আইনের মধ্যে যদি কোনো দূর্বলতা থাকে তাহলে উনি বের করে বলুক যে এখানে সমস্যা আছে। আমরা সেটা দেখে সংশোধন করে নেবো।
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামালঃ
দেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। আমাদের দেশে কিছু কিছু রাজনীতি বিক্রি হয়েছে যারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন এবং বিদেশিরাও বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে কথা বলা শুরু করে, যা আমাদের জন্য মঙ্গল নয়। যে সকল বিদেশীরা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলে তাদের দেশের সম্পর্কে যদি আমরা কোন কথা বলতে চাই তখন আমরা তা বলতে পারি না কিন্তু তারা ঠিকই আমাদের দেশের সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছে।
লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরঃ
আজকাল নন ইস্যুগুলোই ইস্যুতে পরিণত করাটাই হচ্ছে রাজনীতি, আমি রাষ্ট্রদূতদের স্টেটমেন্ট গুলো পড়ছিলাম। তারা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন মৃত্যুর ব্যাপারে, প্রত্যেকটা মৃত্যুই ট্রাজেডি এবং কোন মৃত্যুই কাম্য নয়। স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কোনো মৃত্যু হলে, অবশ্যই সেই মৃত্যুগুলোর বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত এবং পরবর্তীতে একটি স্টেটমেন্ট আসলে খুব ভালো হতো।জেলে একজন সাংবাদিক মারা গিয়েছে এটার জন্য আমরা সকলেই দুঃখিত এবং তার মৃত্যু কখনোই আমাদের জন্য কাম্য নয়।
লীনা পারভিনঃ
আজকে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি বিবৃতিকে যেভাবে মোকাবেলা করেছে সেটা আগে কাউকে কখনও সাহসের সাথে মোকাবেলা করতে দেখিনি, বরঞ্চ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সবসময় চেষ্টা করে বিদেশি লোকদের একধরণের আনুগত্য করার। আজকে আমরা আমাদের মর্যাদার জায়গাটা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমি ব্যক্তিগতভাবে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় মনে করি না। তবে এই আইনের যে জায়গাগুলো অপব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে, আমি মনে করি সরকার সেগুলো নিয়ে অবশ্যই ভাববেন এবং সংস্কারের জায়গাটিতে মনোযোগ দিবেন। আর মুশতাকের বিষয়টি আমি আশা করি সরকার সঠিকভাবে তদন্ত করবেন এবং যদি কেউ দোষী থাকে তবে তাদের যথাযথ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন।
মারুফ রসূলঃ
আমরা ২০০১ সাল থেকে দেখে আসছি যে, এই ঘটনাটি (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) ব্যবহৃত হয় কেবল মাত্র যারা মুক্তিযোদ্ধে পক্ষে কথা বলেন। প্রফেসর আলী আজগর স্যারের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল, হুমায়ুন আজাদের হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি কিন্তু তার ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ গ্রন্থের পরে তার বিরুদ্ধে এই ধরণের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশের ব্লগারদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে ৫৭ ধারা আসার পর, আর ডিএসএ আসার পর গণমাধ্যম কর্মীদেরকে ধরা হচ্ছে। কিন্তু এই যে রাস্তায় রাস্তায়, জায়গায় জায়গায় ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে নারীদেরকে অসম্মান করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে দেখা হচ্ছে বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নানানভাবে নানান নেরেটিভে দাঁড় করানো হচ্ছে। এই বিষয়ে কোনো ধরণের আলোচনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আজ পর্যন্ত হয়নি। ডিএসএ’র যে ধারাগুলো বিতর্কিত সেগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে তাদের ধারাটা অব্যাহত রাখার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামঃ
আমি কূটনীতিক চাকরি করেছি, বেশ লম্বা সময় ধরে প্রায় সাড়ে চার বছর না পাঁচ বছর ধরে। কর্মরত থাকা অবস্থায় আমি বিভিন্ন দেশে ছিলাম এবং যে সকল দেশে ছিলাম সে সকল দেশের কোনো কূটনৈতিক তাদের দেশের কোন বিষয় নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন ধরনের বিবৃতি কখনো দেয়নি। আজকে এই মার্চ মাসে আমি স্মরণ করছি যারা রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা এ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে।