টেবিল টক এশিয়ান টিভি ১৮৩০ ঘটিকা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
2021-02-28 18:30:00
ড. আলমগীর আলমঃ
মাথাপিছু আয়টা জাতিসংঘের রিকোয়ারমেন্ট ছিল মিনিমাম ১২৩০ ডলার। তার চেয়ে এখন আরও বেড়েছে যেটা ১৮২৭ ডলার। মানসম্মত উন্নয়নের যে মানদণ্ড ছিল ৬৬, সেটিতে আমরা ৭৫.৪ অর্জন করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা একটা সুযোগ ছিল, এটি একটি নেগেটিভ সূচক যেটাতে আমাদের ৩২ এর নিচে থাকতে হবে সেটা আমরা ২৭ এ আছি। অর্থাৎ তিনটি সূচকের মানদন্ড পরিপূর্ণ করতে পেরেছি। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। অর্থনীতিতে যে দুর্ভিক্ষ, খরা, বন্যার দেশ হিসেবে নেগেটিভ পরিচয় ছিল বাংলাদেশ সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। আমরা এলডিজি থেকে ২০২৪ থেকে দুই বছর অতিরিক্ত পেয়েছি ২০২৬ সালে উত্তরণের দিকে যাচ্ছি। সে উত্তরণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যে সুযোগ সুবিধা পাই এগুলো কমে যাবে। বিশ্ব ব্যাংক এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে আমরা গরিব দেশ হিসেবে যে লোন নিই সেই ইন্টারেস্টটা অনেক বাড়বে, তবে আমরা লোনের এমাউন্টটা অনেক বেশি পাবো। বিভিন্ন আয়োজনে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সভায় যোগ দিতে সৌজন্য টিকিট পাই এবং আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাই এগুলো সব কমে যাবে। তবে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের নাম থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। আগামীতে আমাদের যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এটাকে ঢেলে সাজাতে হবে, আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে হবে।
সৈয়দ আলমাস কবিরঃ
আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে সূচকগুলো আছে সেখানে আমরা অনেক ভালো করেছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো এবং বড় দেশগুলো থেকেও কিন্তু আমরা অনেকগুলো সূচকে অনেক ভালো অবস্থানে আছি। এটি আমরা গত ৫০ বছরে অর্জন করেছি। এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার ১০ বছর আগের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি হয়। এই জিনিসগুলো প্রমাণ করে যে আমরা ঠিক দিকে এগোচ্ছি। আমাদের যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে সেগুলো মোকাবেলার জন্য আমাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি ঠিকভাবে এগোই তাহলে আমরা ২০৩১/২০৪১ সালের যে মাইলস্টোনগুলো আছে সেগুলো ২০৩১ এবং ২০৪১ এর আগেই অর্জন করতে পারবো। বিশ্বের দশটি সবচাইতে ভালো গার্মেন্টসের মধ্যে সাতটি বাংলাদেশের গার্মেন্টস। এটি একটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।
ব্যারিস্টার মিতি সানজানাঃ
করোনা মহামারীতে সারা পৃথিবী যখন বিপর্যস্ত এই সময়ও আমাদের সমস্ত মেগা প্রজেক্টগুলো একইভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশ হিসেবে আজকে সারা বিশ্বের মধ্যে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭তম। একসময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই অবস্থান থেকে আজকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অবস্থান সেটা সারাবিশ্বে প্রশংসনীয়। আমাদেরকে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বিশেষ নজর দিতে হবে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে বাংলাদেশকে ঘিরে। এসব দিক থেকে উত্তরণ করতে গেলে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয় সেই সাথে সাথে দুর্নীতির দিকে নজর দিতে হবে। যাতে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পারি।