জনতন্ত্র গণতন্ত্র নিউজ ২৪ ২০০০ ঘটিকা ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
2021-02-27 20:00:00
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদঃ
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিত, অধ্যাপকবৃন্দ এবং যারা নীতিনির্ধারক তাদের আশঙ্কা ছিল যে বাংলাদেশ যদি স্বাধীনও হয়, বাংলাদেশকে টিকে থাকতে পারবে? এবং সে সময় অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন যে বাংলাদেশে হবে ভিক্ষার ঝুলি হাতে একটি দেশ।কিন্তু আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে একটি রোল মডেল হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আজকে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে যা সমগ্র জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও আনন্দের একটি বিষয়। আজকের এই অর্জন যার নেতৃত্বে হয়েছে তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজকে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হচ্ছে। একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ড. জামাল উদ্দিন আহমেদঃ
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। তারা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকে নষ্ট করে দিয়ে গিয়েছিল। সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলতে শুরু করে। ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নতির পথ চলাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল এবং তারপর আবারো ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে শুরু করেছিল কিন্তু ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সেই ধ্বংসপ্রায় দেশের হাল ধরেন এবং ধীরে ধীরে দেশকে সুসংগঠিত করতে শুরু করেন। আজকে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেল।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে ভ্যাকসিন পাইনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আমরা সেই ভ্যাকসিন আনতে পেরেছি এবং তা সফলভাবে মানুষকে দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল তবে আমাদের দেশে সমআয় এর ধারাটা গড়ে উঠতে আরো অনেক সময় লাগবে। ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে আপনি দেখবেন যারা ধনী লোক তাদেরকে লোন দেওয়ার জন্য ব্যাংকের ম্যানেজাররা খুশি, ওর বাড়িতে গিয়ে বসে থাকে। এটা একটা কালচারাল হেবিট। আমরা বাংলাদেশের শুরু থেকে এটা দেখে আসছি, এটা নতুন কিছু না। সেই ক্ষেত্রে গরীব লোক যদি বা মেয়েরা যদি লোনের জন্য যায় ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা অথর্ব প্রতিষ্ঠান হয়ে পড়ে আছে । আমাদের উন্নতি যেমন হচ্ছে সেই সাথে ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রিতে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। আমাদের প্রতিটা সেক্টরেই জবাবদিহিতাটা নিশ্চিত করতে হবে।
অধ্যাপক ড. এম এম আকাশঃ
জাতিসংঘের যে তিনটি কাইটেরিয়া দিয়ে আমাদের দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেগুলো আমরা ২০১৮ সালেই পূরণ করে ফেলেছি। জাতিসংঘ ২০২৪ সালে আমাদেরকেএই ঘোষণা দিতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা বলেছি করোনার জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাই এটি দুই বছর পর ২০২৬ সালে দেয়া হোক। এই করো না আমাদেরকে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে গেছে। আজকে আমাদের অর্থনীতিটা কয়েকটি হাউজের কাছে চলে গেছে। আমরা এখন একটা সন্ধিক্ষণে মধ্যে আছি, এখন যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকঠোরভাবে এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেন এবং সকল দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারিদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনেন তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এখন কোন জায়গায় আছে? বাংলাদেশি গ্রোথ দিয়েছে, অসমতা দিয়েছে, ডেমোক্রেসি দেয়নি, সুশাসন দেয়নি। এইযে ডেমোক্রেসি, সুশাসন এবং ইকোয়ালিটি, তিনটা না দিয়ে খালি গ্রোথের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র হবে এটা অসম্ভব অসম্ভব। কোনদিন হতে পারবে না