সম্পাদকীয় সময় টিভি ২২০০ ঘটিকা ২৩ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-23 22:00:00
এ কে এম শামীম ওসমানঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য্যশীল একজন মানুষ এবং তিনি নীলকন্ঠী মানে তিনি বিষকেও হজম করেছে। আমি যদি মনেকরি আমি আওয়ামী লীগ করবো তাহলে আমার নেত্রীকে ফলো করা, যে উনি কিভাবে চলছে আমার সেভাবে চলা উচিত। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম যে ২০২২ সালে আমি রাজনীতি থেকে বিদায় নিব কিন্তু এখন দেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এতে আমাকে সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে আসতে হবে।
আবদুস সালামঃ
১২টা বছর আওয়ামী লীগ একটি পুরনো সংগঠন, এটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এই ১২টা বছর এ কি আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এগিয়েছি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভেঙে পড়েছে না শক্তিশালী হয়েছে। এটা দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে আইনের শাসন না থাকে মৌলিক অধিকার থাকেনা। দুঃশাসন, দুর্বৃত্তায়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, চুরি, বাটপারি হবেই এবং এগুলো হয় কি? যখন রাজনীতিটাকে যদি রাজনীতিভাবে তার স্বার্থে প্রবাহিত হতে না দেয় তখন সেখানে স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয় গুলোই ঘটবে আমার দেশের একজন সংসদ সদস্য বিদেশে গিয়ে আজকে দুর্নীতির কারণে গ্রেফতার হয়ে সেখানে জেলে আছে, এটা কারো জন্যই কিন্তু সুখকর না। কিন্তু আজকে এই বিষয়টা কেন হচ্ছে? একটা হলো যে আমি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে আস্তে আস্তে শেষ করে দিচ্ছি। রাজনীতি স্বাভাবিকভাবে যে প্রবাহিত হওয়া দরকার সেটার পথটাকে বন্ধ করে দিচ্ছি আজকে যদি নির্বাচনটাকে আপনি ফ্রি ওয়েতে ছেড়ে দেন, এই যে ফ্রি ওয়েতে করতে দেয়না কারা দেয়না? যারা আজকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখাইতে চায় যে আমরা আপনাকে ক্ষমতায় আনছি, এখন আপনি আমাকে কি দিবেন? অর্থাৎ সেই জায়গায় রাজনীতিটা কিন্তু মাইনাস হয়ে যায়, রাজনীতিবিদরা খাটো হয়ে যাচ্ছে ।
এম. মঞ্জরুল ইসলামঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে কতগুলো কাজ করেছেন বিশেষ করে আজকে ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে যে ঘর বিতরণ করলেন এই ধরণের নানান রকম সমাজ কল্যাণমূলক কাজগুলো যখন তিনি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন তার ত্যাগী নেতাকর্মীরা যে দৃষ্টান্ত রাখছেন সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন সামনে আসতেই পারে। আমার কাছে মনে হয় এক সময় রাজনীতি মানে সততা ছিল, ত্যাগ ছিল. আদর্শ ছিল, আপোষের মনোভাব ছিল কিন্তু এখন সততার বদলে অসততা, ত্যাগের বদলে ভোগ, আদর্শের বদলে একধরণের আর্দশহীনতা এবং আপোষহীনতার বদলে আপোষকামিতার রাজনীতি করি এবং অর্থবিত্ত দিয়েই রাজনীতিতে সামনে এগিয়ে আসা যায়। বিশেষ করে বড় দুইটি দলের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমালোচনা আসেই। যখন ভ্যাকসিন আমাদের দেশে আসছিল না তখন আমরা বলতাম কবে ভ্যাকসিন আসবে আর যখন এসেছে তখন বলছে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা। ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেউ দিতে পারেনি, কারণ এই ভ্যাকসিনটা পৃথিবীর মধ্যে মহামারিতে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে।