সংবাদ সম্প্রসারণ ডিবিসি নিউজ ২০০০ ঘটিকা ২৩ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-23 20:00:00
রাশেদা কে চৌধুরীঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ মতামত দিয়েছেন এবং খোলার ইচ্ছা থাকলেও সেটা অনেক সহজ না, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের জীবন আগে, তারপরে শিক্ষার বিষয়, শিক্ষা যেহেতু বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে, বর্তমান সময়ে তাদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, শিক্ষাকর্মী আমরা যারা আছি সবাই মিলে বসা প্রয়োজন এবং তারা এটি বিবেচনা করেছেন, এখন করোনা পরিস্থিতি অনুকূলের দিকে যাচ্ছে। সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসাথে খুলে দিলে হবে না, ধাপে ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে খুলতে হবে এবং যেখানে করোনা সংক্রমনের হার কম, আমরা নিশ্চয়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতি দ্রুত খুলে দিতে পারবো।
শওকত মাহমুদঃ
স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত ধীর হলেও এটা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত এবং স্বাস্থ্য বিধি মানার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সরকার গঠন করা দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে সর্বাংশে সফল হয়নি এবং জনগণের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, সেই ক্ষেত্রে স্কুলগুলো কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানবে? সরকারের নির্দেশনা পালন করা সম্ভব হবে কিনা এবং কতখানি স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সে ব্যাপারে মনিটরিং করা দরকার। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সজাক রাখতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখভাল করতে হবে, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং একই সঙ্গে স্কুলগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে দায়িত্বের সঙ্গে কাজটি করতে হবে, তাহলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলতে পারবো।
অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়াঃ
বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি, তবে আমাদের অনলাইনে কাজ চলছে এবং পরীক্ষাগুলো সশরীরে কোন কোন বিভাগ নিচ্ছে। পরিস্থিতি যদি উন্নতি হয়, তাহলে দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে কারণ গত দু'সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমনের হার ৫ এর নিচে এবং এর হার যদি কয়েক সপ্তাহ থাকে, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশ শিক্ষার্থী হলগুলোতে অবস্থান করে এবং আমাদের আবাসন সংকটের কারণে একটা রুমে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া মুশকিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে আমরা কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা হবে, সেটা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে এবং আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রশাসনকে দিয়েছি, একটা আইসোলেশন সেন্টার ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা।