একাত্তর জার্নাল, একাত্তর টিভি ২৩৪০ ঘটিকা ২১ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-21 23:40:00
ডা. এ এস এম আলমগীরঃ
ভারত আমাদের ২০ লাখ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে এটা অবশ্যই খুশির সংবাদ। এই প্রাপ্তিটা আমাদের পরিকল্পনার বাইরে ছিলো। ১লা ফেব্রুয়ারি আমাদের একটি পাইলটিং শুরু করার কথা হয়েছিলো, যেহেতু আমরা ২০ লাখ টিকা আগে পেয়েছি সে কারণে আমরা ২৭ বা ২৮ জানুয়ারি এটি করবো। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। আমাদের পাইলটিং লিস্টে সমাজের বিভিন্ন মানুষ অর্ন্তভূক্ত আছে, যারা ফ্রন্টলাইনাররা অথবা যাদের বয়স বেশি তাদের। করোনার জন্য একসাথে আমরা অনেক মানুষ নিয়ে আসতে পারছি না। আমরা মোট ১০ কোটি ভ্যাকসিন জোগান দিয়েছি যা আগামী ২০২১ এর মধ্যে পাবো। আমাদের ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে এবং আমাদের ব্যবস্থাপনাও গোছানো ভাবেই করা হবে।
অধ্যাপক ডা. মোশতাক আহমেদঃ
ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা নানান ধরনের তথ্য পাচ্ছি, যেই ভ্যাকসিনটা এসেছে সেটা ইতিমধ্যে ভারতের ৭ লাখ মানুষকে দেয়া হয়েছে। ৪ জন লোক মারা গেছে কিন্তু বুঝতে হবে যে ৭ লাখ লোকের মধ্যে ৪ জন লোক এমনি মারা যেতে পারে, তারা বলেছেন এটার সাতে ভ্যাকসিনের কোন সম্পর্ক নেই। আমার বিশ্বাস সময়ের সাথে সাথে সব মানুষ এই টিকা নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সরকার অবশ্যই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের একটা রোড ম্যাপ করেছেন এবং আস্তে আস্তে সারা দেশেই ভ্যাকসিনেশনের কাজ করা হবে।
মোঃ আব্দুস সালামঃ
সৌদি আরবে এত সুন্দর ভাবে ভ্যাকসিন নিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সৌদি আরব ডিসেম্বর ২০ তারিখের পর ঘোষণা দিলো এবং একটি অ্যাপস দিলো যেটায় রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করার ৪/৫ দিন পর আমাকে তারা ডাকলেন ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য এবং আমি ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে দেখলাম যে তাদের অনেক সুন্দর ব্যবস্থাপনা। আমি প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছি ডিসেম্বরের ১৫ তারিখে এবং দ্বিতীয়টি নিয়েছি জানুয়ারি ১৩ তারিখে। আমি সৌদি আরবের কারো কাছ থেকেই শুনি নি যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সৌদি আরবে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।
ড. মোবারক আহমদ খানঃ
বর্তমানে আমরা সোনালী ব্যাগের এক টন সীট তৈরী করার সক্ষমতা অর্জন করেছি। এই ব্যাগে আমরা কোন পলিথিন ব্যবহার করিনি বলে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমরা এই সীট থেকে ব্যাগ তৈরি করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এটি একটি নতুন আবিষ্কার, এই আবিষ্কারের জন্য সবকিছুই নতুনভাবে তৈরি করতে হচ্ছে। আমাদের ব্যাগ তৈরীর সকল মেশিনারিজ নবাবপুর থেকে কিনে এনে আপনার নিজেরাই তৈরি করেছে কোন কিছুই বিদেশ থেকে আনা হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের এই ব্যাগের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দৈনিক ২৫ লক্ষ ব্যাগ চায় এমন কোম্পানিও আছে কিন্তু আমরা তৈরি করতে পারছিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছে পাট শিল্পটাকে কিভাবে উন্নত করা যায় সে হিসেবে আমরা আশার আলো দেখছি।
ড. ফজলে আলম রাব্বিঃ
আমরা ১৫১ টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি সেখানে আমরা দেখেছি এখানে বিভিন্ন ধরনের মিউটেশন হচ্ছে। কোন ভাইরাসের সাথে কোন ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং হচ্ছে সেটা আমরা মিলে দেখছি এবং ব্যাপক ফলাফলের জন্য আমাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন। এই ভাইরাস টিতে যাতে আর সংক্রমণ না হয় তার জন্য সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা আমাদের গবেষণায় দেখছি বাংলাদেশের যে ভাইরাসটা তার অরিজিন ইউরোপ থেকে এসেছে।