গণতন্ত্র এখন, বাংলাভিশন টিভি ২৩৩৫ ঘটিকা ২১ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-21 23:35:00
অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামানঃ
প্রত্যেকটা প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়ে গেছে কিন্তু কিছু কিছু বিষয় এবারের মতো অসাধারণ, আকর্ষণীয় এবং যে ইলেকশন প্রসেস এরকমভাবে দুনিয়াকে কখনও আলোড়িত করেনি। বাংলাদেশ মনে হয় আমেরিকার ইলেকশন টেলিভিশনে ফলো করেছে এবং আগে এই ব্যাপারে বেশি আকর্ষণ ছিল না, এবারের নির্বাচন ভিন্ন, প্রত্যেকটা বিশ্ব স্বীকার করে নিয়েছে, যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের ঝান্ডা উঁচু করে রাখতে পারে। কাঠামোগুলো চিন্তা করলে আমেরিকান ইনস্টিটিউশন গুলো অত্যন্ত শক্তিশালী, একটা রোল প্লে করেছে যেটা না হলে, ট্রাম্প যে ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই ষড়যন্ত্র এর চেয়ে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারতো। অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখি মানুষ যখন অন্ধকার চরম পর্যায়ে দেখে, তারপরে হঠাৎ আবিস্কার করে যে, ঘন অন্ধকারের ভেতর থেকে চেন বেরিয়ে আসে এবং আমাদের উচিত আমেরিকার নির্বাচন অনুসরণ করা।
মোহাম্মদ জমিরঃ
বাইডেনের ব্যাপারটাকে একটা অন্য ভূমিকা পালন করছে, একটা প্রথা হয়ে গিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট যিনি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউস থেকে, তিনি অফিসে যাওয়ার আগে চিঠি রেখে যাবেন। এই প্রেক্ষিতে বাইডেন তার বক্তৃতায় অনেক লোক ছিলেন এবং যখন পৃন্স একা দাঁড়িয়ে ছিল, তখন প্রিন্সের সাথে কমলা হারিস এর কথাবার্তা না হলেও চোখের ইঙ্গিত ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছেন, যার জন্য চীন আমেরিকার ওপরে রাগ করেছে, আমার মনে হয় বাইডেন সমস্যা সমাধান করবেন। ভ্যাকসিনের বিষয় নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বিতর্ক থেকে ভারত বললো আমরা ভ্যাকসিন পাঠাবো সেটাই এবং পরবর্তীতে যেটা পাঠাবো আমাদের উপর আস্থা রাখতে হবে।
মোফাজ্জল করিমঃ
গত ৪ বছর সারাবিশ্ব একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে ছিল এবং এর আগে আমেরিকায় এরকম আচরণ এর কোন প্রেসিডেন্ট আসেনি, কোন রাজনীতিবিদ কেউ দেখিনি। ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ায় বিশ্ববাসী খুশি হয়েছে, এমন কোন উল্লেখিত রাষ্ট্র নেই, যাদের সঙ্গে সে সম্পর্ক খারাপ করেনি। বাইডেনের প্রথম থেকে আচার-আচরণ অনেক ভালো, যখন তিনি নমিনেশনের জন্য নামলেন, তখন থেকে আমি লক্ষ করেছি তার মধ্যে ভদ্রতা, তার মধ্যে বিনয়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার তার মধ্যে আছে। ট্রাম্প বৈশ্বিক ভাবমূর্তি যেটা নষ্ট করে গেছেন, সেটাকে আবার পূর্ণ উজ্জীবিত করার জন্য যা যা করণীয়, এটা তার বক্তব্যের মধ্যে এসেছে এবং আমার ধারণা জো বাইডেন সেটা করবেন।
ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনঃ
আমেরিকায় একটা নতুন ভোর হলো বলা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনদিন রাজনীতিবিদ ছিলেন না এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচুর অর্থের অধিকারী, মানুষের অর্থ বেড়ে গেলে রাজনীতি করতে চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেইভাবেই আশা করেছিলেন এবং রিপাবলিকান দল তাকে গ্রহণ করেছিল অর্থের জন্য, সেই অর্থবিত্তের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠী তাকে কিন্তু সামনে এনেছিল। জো বাইডেন সম্পর্কে সারা পৃথিবীতে ইতিবাচক ধারণা চলন, বেক্তিগত ভাবে জো বাইডেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন এবং তিনি ভাষণে যা বলেছেন, তার জন্য মানুষের মন জয় করেছে। প্রথম দিনেই ১৭টি নির্বাহি আদেশ জারি করে, ট্রাম্পের আমেরিকাকে বদলে দেওয়ার পথে চলে গেছেন, যা থেকে আমরা ইতিবাচক ধারণা করতে পারি।