সম্পাদকীয়, সময় টিভি ২২০০ ঘটিকা ২১ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-21 22:00:00
মশিউর রহমানঃ
প্রতিবেদনে ২ টি বিষয় উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, একটি হচ্ছে অপহরণ এবং অপরটি হচ্ছে খুন বা ডাকাতি। এসব ঘটনায় থানা-পুলিশকে জানানো হলে তার কোনো প্রতিকার মেলে না এবং পুলিশ দেখে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় না, এই তথ্যটি সম্পুর্ণ ভুল। আপন নামের একজনকে মাইক্রো বাস থেকে ও নজরুল নামে একজনকে পিকআপ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং তারা ২ জনই স্বল্পআয়ের মানুষ। এই লোক গুলো সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষ। এই লোক গুলো যখন থানা-পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করে, তখন থানা-পুলিশ থেকে অজ্ঞাত এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ধারায় মামলা গ্রহণ করেছেন এবং এই মামলার ধারা হচ্ছে ৩৯৬। এই সকল সাধারণ মানুষের কোন ধরনের তদবিরের প্রয়োজন হয়নি এবং পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করার সাথে সাথে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
অ্যাডভোকেট এলিনা খানঃ
বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও আইনের অনেক সংশোধন করা হয়েছে এবং আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে অপরাধীরা তাদের অপরাধ লুকাবার জন্য ফাঁকফোকর খুঁজতে থাকে। প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ৩০০ ফিট রাস্তায় কোন ধরনের সিসিটিভি নেই এবং এই রাস্তায় পুলিশ পাহারা বৃদ্ধি করল এখানে সিসিটিভির অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। যদিও আমাদের দেশে পুলিশের সংখ্যা কম, তবুও তাদের পক্ষ থেকে আরও বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে সিসিটিভি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ যেন দ্রুত সে সকল স্থানে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বিচার বিভাগে দীর্ঘসূত্রতা ঘটে, আসামিরা এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে তা থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন ফাঁকফোকর খুঁজতে থাকে এবং আসামিরা যেন ফাঁকফোকর করতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বুলবুল রেজাঃ
পূর্বাচলের এই ৩০০ ফিট রাস্তায় এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং এই ৩০০ ফিট রাস্তায় এর আগে গামছা পার্টির দৌরাত্ম্য অনেক বেশি ছিল। পিকআপের মতো করে এর আগে সিএনজিতে করে একই কায়দায় মানুষ উঠিয়ে নিয়ে যখন মেরে ফেলা হতো, তখন ডাম্পিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হতো এই ৩০০ ফিটের সড়কটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার সিসিটিভির কথাটি বলা হয়েছে এবং সিটি কর্পোরেশন বারবার সিসিটিভির কথা বলা হয়েছে। মাঝখানে আমরা শুনতে পেরেছি সিটি কর্পোরেশন থেকে এই রাস্তার জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং পরবর্তীতে সেটি আর হয়নি।