জনতন্ত্র গণতন্ত্র, নিউজ ২৪ টিভি ২০০০ ঘটিকা ২১ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-21 20:00:00
আবুল হাসান চৌধুরীঃ
বাংলাদেশের কূটনৈতিক ক্ষেত্রের একটা সাফল্য হলো আমরা কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচিত হলেন না, তার সময়ে আমাদের যে জ্বলন্ত সমস্যা তার ব্যাপারে সহযোগিতা পেয়েছি। বাইডেন ট্রাম্প এবং ওবামার থেকেও অনেক বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন এবং তাকে অবশ্যই করতে হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আতঙ্কিত ও অস্থির রাজনৈতিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে সবথেকে বড় ইস্যু হলো বর্ণবাদী তো যেটাকে আমরা বর্ণ বৈষম্য বলি। ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন শ্বেতাঙ্গদের নেতা তিনি কৃষ্ণবর্ণ মানুষদেরকে পছন্দ করতেন না। বাইডেনকে টিকে থাকতে হলে এবং জনপ্রিয়তা আরো বাড়াতে হলে তাকে অবশ্যই সব কিছু বিশ্লেষণ করে সবার ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের বিষয়ে বলতে গেলে আমাদের গণতান্ত্রিক হাত যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, বিশ্ব আমাদের দিকে তাকাচ্ছে এবং আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে আরও পররাষ্ট্রয় অর্জন সম্ভব হবে।
শমসের মবিন চৌধুরীঃ
মাত্র ২৪ ঘন্টা হল জো বাইডেন শপথ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর অবস্থানে আসন গ্রহণ করল। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি কতটুকু কি গ্রহণ করবেন কি কি পদক্ষেপ তিনি নিবেন এবং তা অন্যান্য দেশের প্রতি সুখকর হবে কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক না। জো বাইডেনের সামনে সবথেকে বড় যে চ্যালেঞ্জটি সেটি তার গতকালকের বক্তব্যে উঠে এসেছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আর্থসামাজিক অবস্থা, সামাজিক বৈষম্য এবং করনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য। জো বাইডেন মূলত এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রথমে কাজ শুরু করবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। সবথেকে বড় বিষয় তাদের ২০০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস ভেঙে খেলেছে ডোনাল ট্রাম। দীর্ঘ চার বছর পরে ক্ষমতায় এসে জো বাইডেন একটি নতুন ওয়াশিংটন ডিসি উপহার দিল।
অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিনঃ
গত চার বছরে যেটা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে যে সে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য প্রেসিডেন্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা কংগ্রেসের যে দোদুল্যমানতা দেখলাম সেটা আসলেই আশা করা যায় না। যেভাবে ট্রাক বিদায় নিলেন সেটাও কোনভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কাম্য নয় এবং তিনি শুভেচ্ছা সভাও অংশগ্রহণ করেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের এমন কিছু করেছে যেটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার থেকে ট্রাম্প চলে গেল কিন্তু যেগুলো করে গেল তার রেশ থেকে যাবে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। তবে ওদের প্রাতিষ্ঠানিক দিকটা অনেক শক্তিশালী যার প্রমাণ এবারের নির্বাচনে তারা দিয়েছে।