একাত্তর জার্নাল একাত্তর টিভি ২৩৪০ ঘটিকা ২০ জানুয়ারি ২০২১_
2021-01-20 23:40:00
ডা. মুশতাক হোসেনঃ
যখন মহামারিটা শুরু হয়েছিল তখনও কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছিল শতকরা ৫০ ভাগ যদি কার্যকর হয় তাহলেও সেই টিকাটা গ্রহণীয় হবে। সেই ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকাটা সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এবং ভারতে যেটার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে তার কার্যকারিতা কিন্তু আরো বেশি। ভ্যাকসিনের যে কার্যকারিতা আছে সেটা যথেষ্ট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ডে এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ডে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যাদের করোনা হয়েছিল এখন সুস্থ হয়ে গেছে তাদের করোনার টিকা নিতে কোনই সমস্যা নেই এবং যারা দিয়েছে তাদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া হয়নি।
মোহাম্মদ হেলাল হোসেনঃ
খুলনাতে আমাদের সকলের সমন্বয়ে ইতিমধ্যে আমরা করোনা ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে শুধু করোনাকালিন সময়ে আমরা ৯টি উদ্ভাবনী অ্যাপ করেছি। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা জনগণের ডোর টু ডোর সেবা দিয়েছি এবং ট্যাকনিকেল বিষয়ের অ্যাপ দুই এখনো চালু আছে। খুলনাতে প্রায় ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে যে তালিকা আমরা করেছি এটা আমরা ডাটাবেজ করেই করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে যে গাইডলাইন দিয়েছে সেই হিসেবে আমার কাছে ৯৭,১০০ জনের তালিকা করে ডাটাবেজ করেছি। আমাদের জেলায় প্রথম অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পরে পুলিশ বাহিনী এবং তারপরে বৃদ্ধরা।
ডা. জাহিদুল ইসলামঃ
আমাদেরকে মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে তালিকা করার জন্য। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ি প্রত্যেকটা অফিসে চিঠি পাঠিয়েছি তারা যেন ডাটাবেজ করে আমাদের দেয়। তাহলে সেটা আমরা তৈরি করে আমাদের কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাবো। সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে একটা কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে সেই কমিটির সভাপতি মাননীয় মেয়র মহোদয় এবং সদস্য সচিব প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
ডা. শাহ আলমঃ
আমাদের যে নির্দেশনাটা এসেছে সেই ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম মেডিক্যাল কলেজে সেন্টার থাকবে, জেলা হাসপাতালে থাকবে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে থাকবে। আমাদের প্রায় ১৮ লাখ আজকে পর্যন্ত যে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেগুলো হচ্ছে আমাদের ১৫টি নির্দেশনা মোতাবেক। আমরা মেডিকেল কলেজ বেস্ট একটা সেন্টার থাকবে, ২০টি হাসপাতালে সেন্টার থাকবে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সেন্টার থাকবে।
অধ্যাপক ডা. শফিকুর রহমানঃ
আজকে বাইডেনের অভিষেক দুই সপ্তাহ আগের পরিবেশের মধ্যে এতো পার্থক্য হয়ে ভদ্র পরিবেশ তৈরি হয়েছে এটা অবিশ্বাস্য, আসলে এটাই আমেরিকার শক্তি। আমেরিকার যে সমাজ, আমেরিকার যে গণতন্ত্র, ট্রাম্প যে আমেরিকা নয় এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমেরিকা গণতান্ত্রিক নিয়মে সিদ্ধান্ত নেয়, তারা অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে। কাজেই অন্যকে সম্মান করা, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা, অন্যকে সম্মান করে চলা এবং শোনা যে আপনার যা বলার অধিকার আছে আপনি বলেন। সেই অধিকারকে ট্রাম্প ভেঙে ফেলেছিল আর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই কথাটাই বলেছে।