২৪ ঘন্টা যমুনা টিভি ২৩০০ ঘটিকা ২০ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-20 23:00:00
মোঃ তৌহিদ হোসেনঃ
ট্রাম্প নির্বাচনের পর থেকে যেসব কার্যক্রম করে যাচ্ছিলেন সেটা নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দুটোই হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়টি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় সমস্ত পৃথিবীকে ইফেক্ট করে আমাদের দেশকেও করে। ট্রাম্প এই নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পরও সে তার সমর্থকদের মধ্যে যে মিথ্যাচার ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে সেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মন থেকে সরাতে অনেক সময় লেগে যাবে। ট্রাম্প সমাপনী বক্তৃতায় উত্তরসূরি হিসেবে শুভকামনা জানায় নি প্রশাসনকে কিছুটা দায়সারাভাবে শুভকামনা জানিয়েছি। আমি মনে করি নতুন প্রশাসন পূর্ব প্রশাসনকে নিঃসন্দেহে মানবাধিকার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিবে, যেটা ট্রাম্পের সময় কম গুরুত্ব ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভূমিকাকে আরেকটু বেশি জোরদার ভূমিকা নিতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা যেন সাপোর্ট পাই সেই জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।
হুমায়ুন কবিরঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ধরনের বিভাজন সহিংসতা সংঘাতের মধ্যে দিয়ে গত কয়েক বছর গেল এবং অতি সাম্প্রতিককালে ও আমরা কংগ্রেসের যে ঘটনাগুলো দেখলাম তারপরে আর কত টাকা রাখা যাবে যে এই জাতিটা আবারও ঐক্যবদ্ধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু জাতিগত বিভাজন এবং সংঘাত একেবারে নতুন নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের ঘটনার সাথে অপরিচিত এটাও বলা যাবে না। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাকটিক্যাল মিশন যখন যেটা প্রয়োজন সেটাই তখন তারা করে।
অধ্যাপক ড. আমেনা মহসীনঃ
জো বাইডেন বারবার বলছেন যে আমরা নতুন দিকে এগিয়ে যেতে চাই এই যে কথাগুলো তিনি বলছেন তারও কিন্তু একটা ইম্প্যাক্ট পড়ছে। আমেরিকায় যে ধরনের সতর্কবার্তা এবং যে ধরনের ভয়গুলো সবাই পেয়েছিল তার সত্বেও কিন্তু আজকে যে ইনোগ্রেসন হলো সেখানে কিন্তু কিছুর কমতি হয়নি। জো বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইনোগ্রেশন না থাকে, তখন জো বাইডেন বলেছিলেন সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমেরিকার ইনস্টিটিউশনের ব্যাপারে একটা গ্যাপ থেকেই গেল, তবে সেই গ্যাপ আর সেরকমভাবে আর থাকবে না। আমরা দেখছি ৬ জানুয়ারির পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু অনেকটা আইসোলেটেড হয়ে গেছে।জো বাইডেন করোনা ভাইরাসকে প্রথমেই মোকাবেলা করার চেষ্টা করবেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় বাংলাদেশ যে লেন্স ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরিচিত ছিল আমার মনে হয় আমরা এখন সেই অবস্থানের মধ্যে নেই।
ড. আলী রীয়াজঃ
আগামী কয়েক ঘন্টায় আমরা অনুমান করছি অন্ততপক্ষে জো বাইডেন বারোটি নির্বাহী আদেশ সই করবেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে এখন যে সমস্ত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বৈশ্বিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থা সেগুলো বিবেচনা করা। নির্বাহী আদেশ যেগুলো দেওয়া হবে সেগুলো ইমিডিয়েটলি কিছু কিছু এফেক্টিভ হবে। বাইডেনের প্রথম কাজই হচ্ছে এই নির্বাহী আদেশ বলে দেওয়া, দেশগুলো তিনি দিবেন। ট্রাম্প গত চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন প্রথম কাজ আছে সেগুলোকে ডিভাইস করা। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান না।