নিউজ আওয়ার এক্সট্রা এটিএন নিউজ ২১৩০ ঘটিকা ২০ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-20 21:30:00
ফরহাদ হোসেনঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দূরদর্শিতার সাথে কাজ করে আসছেন তাই একদিনের বিষয় নয়। প্রায় ১২ বছর ধরে শেখ হাসিনার সরকার দেশ পরিচালনা করছে এই ১২ বছরে আমাদের চারপাশের যে পরিবর্তন সে পরিবর্তন আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ করছি। এই সময়কালে আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং আমাদের লক্ষ্য ৪২ সাল নাগাদ আমরা উন্নত দেশে রূপান্তরিত হব। এই করোনাভাইরাস এর মুহূর্তেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শিতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করায় আমাদের জিডিপি গ্রোথ ইন্ডিয়া থেকে বেশি হয়েছে। আমি আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা আরো ভালো অবস্থানে যেতে পারবো।
এএইচ আসলাম সানীঃ
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে যখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি ছিল তখন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির অনেক অর্ডার ক্যানসেল হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৫৪ বিলিয়ন এর মতন অর্ডার আমাদের ফেরত এসেছিল। তখনকার সময়ে আমরা কি করব কি করা উচিত কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং সঠিক নির্দেশনা আমরা আস্তে আস্তে নিজেদেরকে আবার পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই। তখনকার সময়ে সবথেকে বড় যে চাওয়া টা ছিল সেটা হল শ্রমিকদের বেতন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শব্দকে কোনরকম আন্দোলন বাচাও ছাড়াই তিনি শ্রমিকদের কথা ভেবে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ আমাদেরকে দিয়েছে যে কারণে অনেক শ্রমিকরা বেতন থেকে বঞ্চিত হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শীতায় আশা করি আমরা আমাদের দেশকে অনেক ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবো।
অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমঃ
আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের সাথে সংযুক্ত আছেন যার জন্য আমাদের এ বছরে যে উৎপাদন হয়েছে সেটা পর্যাপ্ত। আমাদের হিসাব অনুযায়ী আমাদের দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই এবং শস্য উৎপাদনের অবস্থা অত্যন্ত ভালো। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে ছিল এবং বর্তমানে আমরা দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যের অভাব হতে পারেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষকদের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ এবার করোনার কারণে দেয়া হয়েছে সেটা অত্যন্ত লাভজনক হিসেবে প্রত্যক্ষ হয়েছে।
অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানঃ
উন্নয়নশীল দেশের যুক্তরাষ্ট্রের থেকে প্রত্যাশার মাত্রাটা সব সময় বৃদ্ধি থাকে। জো বাইডেন যেহেতু ক্ষমতা পেয়েছে সেহেতু আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা মাথাটা একটু বেশি থাকবে। আমাদের প্রথম প্রত্যাশা থাকবে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে জিএসপি সুবিধা যাতে আমরা পাই। আমরা আশা রাখবো জো বাইডেন সরকার আমাদেরকে জিএসপি সুবিধা দিবে। জো বাইডেন বলেছেন এক কোটির উপরে মানুষদের তিনি নাগরিকত্ব দিবেন। একথা যেহেতু তিনি বলেছেন সে তো আমরা আশা করতে পারি বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে জো বাইডেন সরকার সহনশীল হবেন এবং ট্রাম যে বিধি নিষেধ গুলো দিয়ে গিয়েছিল সেই বিধি নিষেধ গুলো তুলে ফেলা হবে।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুকঃ
এই করোনার সময়ে যখন সারা বিশ্ব মুখ থুবরে পড়েছে তখন আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে হোক অথবা করোনা পরিস্থিতি হোক আমরা আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছি। অনেক দেশেই অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে এই করোনা পরিস্থিতি কাটিয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেক উন্নত দেশ এই পরিস্থিতিতে হিমশিম খেয়ে গেছে সেখানে বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত শিথিল অবস্থায় ছিল বলে আমি মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশে নিয়ম হলো যে মাস্ক না পড়লে কোন ধরনের সার্ভিস তাকে দেয়া হবে না। এবিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াতে অনেক ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ প্রশংসার দাবি রাখে।