জনতন্ত্র গণতন্ত্র নিউজ ২৪ ২০০০ ঘটিকা ২০ জানুয়ারি ২০২১
2021-01-20 20:00:00
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানঃ
আওয়ামী লীগ একটা বড় দল, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এটা আগেও ছিল কিন্তু ইদানীংকালে এদের পরিমাণটা একটু বেড়ে গেছে। নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল দুটি পরস্পর বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থা সেভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। যে সকল রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিপক্ষ হিসেবে, জোরালো ভাবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ছিল, তারা জনগণের অধিকার বা জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে সে ধরনের অবস্থা তৈরি করতে পারছেনা। অনেকেই মনে করে ক্ষমতাশীল দল থেকে যদি নমিনেশন পাওয়া যায়, তাহলে নির্বাচনটা জিতা খুব সহজ হবে, এই ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
অ্যাড. কাজী ফিরোজ রশীদঃ
একটা দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করে, সংগঠনকে দুর্বল করে, এটা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি। কমিটি করার সময় দেখা যায় কে কাকে কমিটি করবে এবং তৃণমূলের কোন মতামত ছাড়াই একবার যদি কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়, তাহলে সেটা প্রার্থী দেখে দেওয়া দরকার। আওয়ামী লীগ একটা বিশাল দল, এখানে তৃণমূলে তাদের দল অনেক শক্তিশালী কিন্তু সেই শক্তিশালী দলে যদি আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়, সেটা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগে যে সমস্ত পদ, যাদেরকে দেওয়া হচ্ছে, তার আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন করেননি এবং আওয়ামী লীগের কাউকে লাগেনা এখন কারণ দেশের সব মানুষ এখন আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দুকের নলে শক্তি সেটা তিনি বিশ্বাস করত না এবং তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণই তার মূল শক্তি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে, সেই মনুষত্ব নিয়ে যদি আমরা চলতে পারি, তাহলে এ ধরনের সংকট থেকে বেরোনো সম্ভব।
মীর মোস্তাক আহমেদ রবিঃ
এমপি লীগ বলে কোন কিছু আছে আমার মনে হয় না, আসলে দীর্ঘদিন দল ক্ষমতায় থাকলে, এ ধরনের বিষয় সব সময়ই দেখা যায়, এটা স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিনের একটি ঐতিহ্যবাহী দল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই দল এবং এ দলের বিশৃংখলা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ইশারায় গোটা জাতি অর্থ এবং বস্তু, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে। বিদ্রোহী প্রার্থী এগুলো কিন্তু সব জায়গায় নয়, যারা ক্রাইম করছে, যারা উৎসাহ দিচ্ছে, যে বিদ্রোহী প্রার্থী বের করা যাবে না। যদি আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক হই তাহলে এটা বের করা যাবে এবং জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়া বাদে, এখন মনে হয় সবাই আওয়ামী লীগ করে।
এস এম কামাল হোসেনঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অতি প্রাচীনতম দল, যে দল মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং বাংলাদেশে এখন সর্ব বৃহত্তর রাজনীতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু জায়গায় বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন, তারা দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কোন দায়িত্ব নেই। উপজেলা নির্বাচনে হয়তো কাউকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হয়নি, এই কারণে যে উপজেলা নির্বাচনের সময় বিরোধী দল নির্বাচন করেননি। নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশে করার জন্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য, দলের ভিতরে যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ থেকে কোন লোক দাঁড়ায়, তাহলে দাঁড়াতে পারে এবং এ ব্যাপারে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হয়েছিল কিন্তু যারা দলের দায়িত্বে আছেন তারা যদি নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাদেরকে আমরা দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।