একাত্তর জার্নাল একাত্তর টিভি ২৩৪০ ঘটিকা ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-05 23:40:00
মোহাম্মদ আসলাম হোসেনঃ
সম্প্রীতি ভাস্কর্য নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে আসলে তা খুবই নিন্দনীয় এবং এটি সভ্য সমাজে কখনোই কাম্য হতে পারে না। আজকে যখনই আমরা এই ঘটনাটি জানতে পেরেছি, তখনই আমিসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং পরবর্তীতে আমরা একটি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগের একজন প্রতিনিধি এবং আমাদের গণপূর্তর একজন এক্সিয়েন এই ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে এবং আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতকারীরা ধরা পড়বে।
এইচ রহমান মিলুঃ
যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কটুক্তি করেছে, তারা বুঝে শুনেই তা করেছে এবং তাদের কখনোই ক্ষমা হতে পারেনা। বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর দল বা সরকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার সময় যদি এই পাকিস্তানি দালালদের সাথে আপোষ করতে হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই তার কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি বেশিরভাগ অংশই আমরা অনলাইনে দিয়ে থাকি এবং সেখানে আমাদের মূল সময়টা চলে যায় আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রগামী যে ভূমিকা রয়েছে ও বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসকে আমরা তুলে ধরি। নানা সময় আমাদের এই জামাত ইসলামি আমাদের আইডি গুলো নষ্ট করে ফেলে, আমরা পুনরায় তা তৈরি করি এবং তাদের সাথে সবসময় আমাদের অনলাইনে যুদ্ধ চলতেই থাকে। যখনই আমরা রাজাকারের পুত্র মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলাম, সঙ্গে সঙ্গে আমার ইনবক্সের মেসেঞ্জারে লেখা হলো তোকে অতিসত্বর জবাই করা হবে।
খুশি কবীরঃ
ভাস্কর্য নিয়ে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে আমাদেরকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে যে আমরা ছাড় দিয়ে আসছি এবং যার কারণে তারা এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। আমরা দেখছি ও নিজের কানে শুনছি মসজিদ থেকে যে সকল ওয়াজ গুলো করা হচ্ছে তাতে সেখানে একই ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং সেখানে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের ভাস্কর্য ও মূর্তি গুলো ভাঙতে হবে। পরবর্তী বছর আমরা যেখানে আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি পালন করব সেখানে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে কি ইতিহাস শিখাচ্ছি বা তাদেরকে কি মূল্যবোধ জানাতে পেরেছি কিন্তু আমরা তাদেরকে একটা ধ্বংস করার মূল্যবোধ শিখাচ্ছি।
ডা. নুজহাত চৌধুরীঃ
বাংলাদেশের একটি গোষ্ঠী তিলে তিলে একটু একটু করে তারা ছোট ছোট অনেকগুলো বিষয় নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে করে কিন্তু আজকে এত বড় দৃষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে যে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের গায়ে হাত দেওয়ার তাদের দুঃসাহস হয়েছে এবং তারা এত বড় আস্পর্ধা দেখাচ্ছে। আমরা যদি এসকল গোষ্ঠীর বিভিন্ন বক্তব্য গুলো শুনি তাহলে সেখানে দেখা যাচ্ছে ধর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা না করেই, তারা মানুষের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করছে। কিছুদিন আগে একজন মানুষকে একটি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হলো এবং সেখানে দেখা যায় মানুষগুলো খুবই আনন্দের সাথে সেই মানুষটিকে পুড়াচ্ছে। মানুষকে তার মানবিকতার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ভাস্কর্য বা মূর্তি নয়, তাদের উদ্দেশ্য
হচ্ছে অন্য ধর্মের যে অধিকার তা ধ্বংস করা। আসলে আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি এটা কোন ধর্মের বিষয় নয়, এটা হচ্ছে তারা সবসময় এটা করে আসছে এবং পাকিস্তানের সময় থেকে স্বাধীনতার পর পর্যন্ত ধর্মের নামে যে সকল কাজ করা হয়েছে সেখানে সব সময় আমাদের বাঙালিত্বকে ধর্মের সামনে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
শাকিল আহমেদঃ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির বলি হয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছে, যেভাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ভিন্ন দেশে অর্থাৎ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ তার সীমান্তে তাড়া খাওয়া মানুষদেরকে আশ্রয় দিয়েছে এবং বিশ্বের কোথাও শরণার্থীদের এভাবে কোন দেশ তাদের দায় দায়িত্ব নেয় নি কিন্তু বাংলাদেশ তাদের দায় দায়িত্ব নিয়েছে।
ডা. মোঃ রেহেনেওয়াজঃ আজকে সারা বাংলাদেশে ১০ টি জেলাতে আরটিপিসিআরের পাশাপাশি রেপিট এন্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এটা সুবিধা হচ্ছে আমরা খুব কম সময় ফলাফল পাচ্ছি এবং যার কারণে আমরা খুব দ্রুত রোগীদের শনাক্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে পারছি। ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা রোগীর কোভিড পরীক্ষার ফলাফল জানাতে সক্ষম হচ্ছি এবং আমাদের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনলাইনের মাধ্যমে ১০ টি জেলার এই কার্যক্রমের উদ্যোগটির উদ্বোধন করেছেন। |
---|