একাত্তর জার্নাল, একাত্তর টিভি, ২৩৪০ ঘটিকা ০৪ ডিসেম্বর ২০২০
2020-12-04 23:40:00
শমসের মুবিন চৌধুরীঃ
আজকে রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটলো, বাংলাদেশের জন্য এটি যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত এবং এটি বাংলাদেশ সরকারের কৃতিত্বের পাশাপাশি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণেই সম্ভব হয়েছে। শুধুমাত্র আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিবো না, আমরা তাদেরকে উন্নত আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিব এবং সেটা আমরা নিজেদের ব্যবস্থাপনায় করে দিব। এই প্রকল্পটিতে ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে, রোহিঙ্গারা পূর্বের অবস্থা থেকে আরো বেশি উন্নত অবস্থা পাওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় তারা সেখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করবে। এছাড়াও স্বাভাবিক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে তারা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং সেখানে তারা স্বাস্থ্যগতভাবে অনেক নিরাপদ থাকার পাশাপাশি শিক্ষার দিক দিয়েও তারা নিরাপদ থাকবে। আজকে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাদেরকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নাঈমুল ইসলাম খানঃ
এই প্রথম রোহিঙ্গারা সঠিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পাবে এবং পূর্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে শুধুমাত্র মাদ্রাসা কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল কিন্তু এখন তারা সব ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা পাবে। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার বিষয়ে এনজিওদের ফান্ডের ব্যবস্থার উপর চরম আঘাত আনবে, তারা কখনোই চাইবেনা রোহিঙ্গারা ভাসানচরে আরো ভালোভাবে সুবিধা ভোগ করুক এবং তারা এই পূর্ণবাসনটিকে একটি সংকটের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এই সংকটের মূল কারণ হচ্ছে, তারা যেন নতুন ভাবে ফান্ড পাওয়ার জন্য এই কাজটি করবে এবং তারা মুখে মুখে ভাসানচর নিয়ে অনেক সমালোচনা করতে থাকবে।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুঃ
আমরা কিছু অনলাইন প্রোগ্রাম দেখছি, যেখানে বিভিন্নভাবে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশকে চিহ্নিত করে ভিন্নমতের মানুষরা সরকার উৎখাতের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তারা ভাস্কর্য ও মূর্তি বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে, সেই সাথে এই বিষয়ে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার মাধ্যমে অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তারা দেশের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। গত কয়েক বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রাজনীতির সৃষ্টি করেছে, তার সুফল কিন্তু মানুষ পেয়েছে এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছিল কিন্তু তারা ইসলামের একটি অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ডা. তানজিবা রহমানঃ
সরকারের যে কোন ভাল কাজের জন্য সবার মধ্যে একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং এখন যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ সেহেতু সবাই ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। আমাদের আইডি কার্ড নিয়ে দুই ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া আমরা পেয়েছি, একটা হচ্ছে ১৫শো টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি এবং আমাদের লোগো ও ওয়েবসাইটের ডিজাইন নিয়ে। এই ফি টা নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারের অন্যান্য যে সকল সেবা আমরা পাচ্ছি, সেই সেবার সাথে তাল মিলিয়ে, এটা তৈরি করা হয়েছে আমাদের দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য অর্থাৎ যারা সত্যিকার অর্থে ফ্রিল্যান্সার এবং যারা সত্যিকার অর্থে ফ্রিল্যান্সার তাদের কাছে ১৫শো টাকা কোন বিষয় নয়। তাদের কাছে থেকে আমরা কোন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিনি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভোলোপমেন্ট সোসাইটি কাজ করছে প্রায় বাংলাদেশের ১০০ টি ফেসবুক ফ্রিল্যান্সার গ্রুপের সাথে এবং বাংলাদেশে এমনও ফ্রিল্যান্সার গ্রুপ আছে যাদের প্রতি মাসে ২০ হাজার ডলার আয় রয়েছে।